দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক সম্প্রতি সোয়াপ বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
এই চুক্তির কারণে গ্রাহকরা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নতুন ফোর-জি স্মার্টফোন ক্রয়ের সময় পুরাতন ফোনের বিনিময় মূল্যের ১২% বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন।
জিএসএমএ-এর তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বাংলাদেশে মোট ফোন ব্যবহারকারীর মাত্র ৪৮% স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। তাই স্মার্টফোনকে আরও সহজলভ্য করতে এবং সাধারণ গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার ভেতর নিয়ে আসতে বাংলালিংক এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখন থেকে বাংলালিংক গ্রাহকরা সোয়াপ হতে তাদের যে কোনো থ্রিজি কিংবা ফোরজি ফোন বদলে নতুন যে কোনো ফোরজি ফোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই অফারটি উপভোগ করতে পারবেন।
তাছাড়াও, বাংলালিংক-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে সোয়াপ বাংলাদেশ এই অফারের অধীনে বিক্রয় করা যে কোনো ফোরজি ফোনে ১২ মাস পর্যন্ত বিক্রয়োত্তর সুবিধাও প্রদান করছে। বাংলালিংকও ই-সিম পরিবর্তন সুবিধাসহ আকর্ষণীয় বান্ডেল অফারও প্রদান করছে।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংকের গ্রাহকবান্ধব নীতির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বাংলালিংক-এর মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমীন বলেন, “সোয়াপ-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আমরা ফোর-জি উপযোগী মোবাইল ফোনের ব্যবহার আরও বাড়াতে চাই। আমাদের এই উদ্যোগ গ্রাহকদের মাইবিএল সুপার অ্যাপ এবং টফি-এর মতো ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহার করার সুযোগ করে দেবে এবং তাদের ডিজিটাল লাইফস্টাইলের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।”
সোয়াপ-এর ডিরেক্টর এবং চীফ অপারেটিং অফিসার তন্ময় সাহা বলেছেন, “ডিজিটাল সেবার মান বৃদ্ধির যৌথ লক্ষ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ফোরজি সেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা আশা করছি যে, বাংলালিংক গ্রাহকরা আমাদের সেবা গ্রহণ করবেন ও তাদের ব্যবহৃত থ্রিজি এবং ফোরজি ফোনকে সোয়াপ থেকে নতুন ফোরজি ফোনে উন্নিত করে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের অংশীদার হবেন।” জানা গেছে, সোয়াপ বাংলাদেশ-এর যে কোনো বিক্রয়কেন্দ্র থেকে এই অফারগুলো পাওয়া যাচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org