দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘যার আছে আর্থিক সাক্ষরতা, সে জানে উপার্জিত অর্থের সঠিক ব্যবস্থাপনা, আর্থিক সাক্ষরতাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত’ এই প্রতিপাদ্যের ভিত্তিতে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি আর্থিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪ পালন করেছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আর্থিক সাক্ষরতা দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ কাদরী।
আর্থিক সাক্ষরতা দিবস পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ কাদরী বলেন, আর্থিক সেবাবঞ্চিত সাধারণ মানুষের কাছে সাধ্যের মধ্যে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানোই হচ্ছে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকায় খোলা ব্যাংক হিসাব যেমন- স্কুল ব্যাংকিং হিসাব, পথশিশু এবং কর্মজীবী মানুষের ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ব্যাংকিং এবং এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদান। শুধু টাকা গ্রহণ কিংবা পাঠানো নয় সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষকে আধুনিক ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে এসে সঞ্চয়ে আগ্রহী করা, ডিজিটাল লেনদেনের উৎসাহী করা, ক্ষুদ্র-ঋণসহ অন্যান্য ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসাই হলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তি। এই বিষয়ে তিনি ব্যাংকের সকল কর্মীকে আন্তরিক ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
ইউসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তাহমিদুজ্জামান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ইউসিবি ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইংয়ের সুপারভাইজিং অথরিটি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, উইং প্রধান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সেকান্দার-ই আজম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল (২০২১-২০২৬) বাস্তবায়নে সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণে আপামর জনগোষ্ঠীর মাঝে আর্থিক সাক্ষরতা বিস্তার অপরিহার্য। জনগণের মাঝে ব্যাংকিং এবং আর্থিক সেবা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পৌঁছে দেওয়া হলে তারা আধুনিক ব্যাংকিং ও আর্থিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক পণ্য ও সেবা গ্রহণে আগ্রহী হবে যা বাংলাদেশের সার্বিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য যে, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং এবং সঞ্চয়ে আগ্রহী করে তোলার মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছর মার্চ মাসের প্রথম সোমবার আর্থিক সাক্ষরতা দিবস পালনের নির্দেশনা জারি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউসিবি প্রতিবছরই দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে আসছে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org