দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের জনপ্রিয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান উপায় সম্প্রতি দেশের ফ্রিল্যান্সার এবং খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি মিট-আপের আয়োজন করেছিলো। আয়োজনে এই খাতের সম্ভাবনা ও ফ্রিল্যান্সারদের পেশাগত সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রাজধানীর গুলশানে ইউসিবি’র প্রধান কার্যালয়ে ‘ফ্রিল্যান্সারস কন্ট্রিবিউশন টু বিল্ডিং স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যান্ড এমএফএস অ্যাজ গ্রোথ ফ্যাসিলিটেটর’ – এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মিটআপটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) এবং উপায়ের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য এটিএম তাহমিদুজ্জামান; উপায়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) সৈয়দ মো. এনামুল কবির এবং স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড প্রোডাক্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মৌলুদ হোসেন সহ ইউসিবি এবং উপায়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সেশন পরিচালনা করেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান। বিভিন্ন পেশা এবং বয়সের ত্রিশের বেশি ফ্রিল্যান্সার স্বতস্ফূর্তভাবে এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।
এই ধরনের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধনশীল ফ্রিল্যান্সার খাত, এর নিহিত সম্ভাবনা এবং কীভাবে এই খাতকে সর্বোচ্চ ফলপ্রসূ করে তোলা যায় – এই বিষয়গুলো নিয়েই মূলত সেশনে আলোচনা হয়। মুনির হাসান বলেন, “আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়; যার মধ্যে রয়েছে দৈনিক এবং মাসিক লেনদেনের অপর্যাপ্ত সীমা, মুদ্রা বিনিময় হার ও প্রণোদনা পাওয়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা। যদিও, সামগ্রিকভাবে এ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এখন ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য নতুন নতুন স্বীকৃত চ্যানেল হচ্ছে। তবে, উন্নতির এ প্রক্রিয়াকে আমাদের ত্বরান্বিত করতে হবে। সেজন্য সরকার থেকে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, ব্যাংকগুলোও ফ্রিল্যান্সিং খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে প্রচারণাসহ কার্যকরী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ পারে। এ প্রেক্ষিতে, আমি ইউসিবি ও উপায়ের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। তারা পেওনিয়ারের সাথে অংশীদারিত্বে দেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পেমেন্ট গেটওয়ে সুবিধা নিয়ে এসেছে, যা ফ্রিল্যান্সিং খাতের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।”
এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, “গত বছর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিবেদনে অনুসারে বিশ্বের মোট ফ্রিল্যান্সারের ১৪ শতাংশ বাংলদেশ থেকে। আমরা যদি এই বিপুল পরিমাণ ফ্রিল্যান্সারদের সঠিক এবং সময়োপযোগী সমাধান দিয়ে দক্ষ করে তুলতে পারি, তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ডিজিটাল অর্থনীতির মাধ্যমে একটি স্মার্ট জাতি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফ্রিল্যান্সাররাও খুব সহজে উপায় ওয়ালেট ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে মতামত এবং সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং এক্ষেত্রে উপায় ও ইউসিবির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। সহজে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারায় তারা ইউসিবি-উপায় প্রিপেইড কার্ডের প্রশংসা করেন। এছাড়া, ডিজিটাল মিডিয়া মার্কেটিং পেমেন্ট, মার্চেন্ট পেমেন্ট (অনলাইন এবং অফলাইন) ও বিশ্বব্যাপী এটিএম নগদ উত্তোলন সুবিধা থাকার কারণে ইউসিবি-উপায় প্রিপেইড কার্ড নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন উপস্থিত ফ্রিল্যান্সাররা। অতিথিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org