দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেয়েদের জন্য ক্যান্সারের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে আগামী ৭-৮ মাসের মধ্যে। যা স্তন, মুখমণ্ডল ও ঘাড়ের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, গতকাল (মঙ্গলবার) সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যান্সারের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা প্রায় সম্পূর্ণ ও বর্তমানে ট্রায়ালও চলছে। ৯ হতে ১৬ বছর বয়সী মেয়েরা এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব বলেন, ভারতে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে ও এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চিন্তিত।
তিনি আরও বলেন, ৩০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের জন্য হাসপাতালগুলোতে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া চালু করা হবে ও ক্যান্সারের প্রাথমিক শনাক্তকরণের জন্য ডে-কেয়ার ক্যান্সার সেন্টারও প্রতিষ্ঠিত হবে। সেইসঙ্গে, ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের শুল্ক মওকুফ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে, ভারতে নারীদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রকোপ দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে ও এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ক্যান্সারের ভ্যাকসিন ক্যান্সার রোগে প্রাথমিক স্তরে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিরোধ ও সঠিক চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org