দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই গোটা গরম কাল জুড়েই টক দই দিয়ে ভাত খেয়ে থাকেন। অনেকের আবার টক দই খেলে কিন্তু হজম হয় না। তাহলে দই না খেয়েও তার উপকার পাবেন কীভাবে?
একেবারে দুয়ারে বসন্ত। ইতিমধ্যেই গরমের আঁচ ভালো মতোই টের পেতে শুরু করেছেন সবাই। গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে ঘোল, লস্যি, ছাঁচ— এইসব পানীয়ের উপরে ভরসা রেখেছেন। অনেকেই আবার গোটা গরম কাল জুড়ে টক দই দিয়ে ভাত খেয়ে থাকেন। অনেকের আবার টক দই খেলে হজমও হয় না। সেই ক্ষেত্রে টক দই দিয়ে বানানো ঘোল অনেক বেশি সহজপাচ্য একটি জিনিস। ঘোল যে শুধু হজমেই সহায়ক, তা কিন্তু নয়, পেটের যে কোনও সমস্যাতে ঘোল খাওয়া যায়। জেনে নিন, গ্রীষ্মের ডায়েটে প্রতিদিন ঘোল খেলে কী কী উপকার হয়।
# ঘোল ও দই, উভয়েই প্রোবায়োটিক, তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দু’টিই সমানভাবে উপকারী। তবে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় হজমের সমস্যা দূর করতে ও শরীর ঠাণ্ডা রাখতে বেশি সাহায্য করে এই ঘোল। ভারী খাবারের পর এক গ্লাস দইয়ের ঘোল গ্যাসের মতো সমস্যার দাওয়াই হতে পারে।
# পেটের সংক্রমণ, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার দাওয়াই হতে পারে এই ঘোল। অনেকেই সারা বছর এমন সমস্যায় ভোগেন। গরমের সময় তাঁরা ডায়েটে নিয়ম করে ঘোল রাখতে পারেন। উপকারও পাবেন।
# এই ঘোলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম ও উচ্চ প্রোটিন। এতোগুলো স্বাস্থ্যকর উপাদান সমৃদ্ধ ঘোল শরীরে ভিটামিনসহ বাকি উপাদানগুলোর ঘাটতি পূরণ করে।
# অনেকেই রোগা হতে গিয়ে কত পরিশ্রমই না করেন! তবে এই ঘোল খেয়েও যে রোগা হওয়া যায়, তা কী আপনি কখনও জানতেন? ক্যালশিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন সমৃদ্ধ দইয়ের ঘোলে কোনো রকম ফ্যাট নেই বললেই চলে। এক গ্লাস ঘোল খেলে পেটও অনেকক্ষণ ভরা থাকে। যে কারণে বার বার খাওয়ার প্রবণতাও তখন কমে আসে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org