দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হার্ট ভালো রাখা ও রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখাটা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে এলডিএল বেড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ কিছু খাবার নিয়মিত খেলে রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কাজের চিন্তা, উদ্বেগ, মানসিক চাপ কখনও পুরোপুরিভাবে কমবে না। দিনে দিনে যেনো আরও বেড়েই যাবে। এরসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল। অবশ্য রক্তে এই চটচটে পদার্থটির বেড়ে যাওয়ার জন্য শুধু মানসিক চাপের ঘাড়ে বন্দুক রাখলেই চলবে না। এরজন্য অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও দায়ী। অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে এলডিএল বেড়ে যাওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয়। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খুব চেনা, সাধারণ কিছু খাবার রক্তে এই ধরনের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও রাখতে পারে। সেগুলো তাহলে কী?
বাদাম
হাড় মজবুত করতে হলে প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ভেজানো কাঠবাদাম খেতে হবে। তবে রক্তে কোলেস্টেরল ভালো রাখতে বাদামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কাঠবাদাম, পেস্তা, আখরোটের মধ্যে রয়েছে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, সহজপাচ্য ফাইবার এবং প্লান্ট বেস্ড স্টেরল। এই সমস্ত উপাদান রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল (এলডিএল) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
পালং শাক
পালং শাক বাজারে খুব সহজেই পাওয়া যায়। লুটিন, সহজপাচ্য ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর পালং শাক সামগ্রিকভাবে হার্ট ভালো রাখতেও সাহায্য করে। স্যালাড, স্মুদি, ওমলেট বা স্বাস্থ্যকর যে কোনও খাবারেই পালং শাক দেওয়া যেতেই পারে।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেট সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। ডার্ক চকোলেটের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও থাকে। যা রক্তে খারাপ (এলডিএল) কোলেস্টেরল কমিয়ে, ভালো (এইচডিএল) কোলেস্টেরল-এর পরিমাণ বাড়িয়েও তুলতে পারে। তবে উপকারী বলে পরিমাণে অনেক বেশি পরিমাণ ডার্ক চকোলেট খাওয়া যাবে না মোটেও। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org