দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেড়ে গেলে ত্বকেই দেখা দিতে পারে উপসর্গ। এই ক্ষেত্রে ত্বকের তলায় ফ্যাট জমা হতে থাকে, এর থেকেই শুরু হয় নানা সমস্যা। জেনে নিন ত্বকে কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে।
বয়স ৩০ পেরোলেই কোলেস্টেরলের সমস্যা অনেকের কপালে চিন্তার রেখা ভাঁজ ফেলে। আর সেই দুশ্চিন্তা খুব একটা অসঙ্গত নয়। ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ এবং ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’, মানুষের দেহে মূলত এই দু’ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যেতে পারে। যারমধ্যে রয়েছে দ্বিতীয়টি খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে দেখা দিতে পারে সংবহনতন্ত্রের নানা সমস্যা। বাড়তি কোলেস্টেরলের অর্থই হলো স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া।
সাধারণ কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি না বাড়লে তেমন উপসর্গও ধরা পড়ে না শরীরে। একমাত্র চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রক্তপরীক্ষা করালে তখন ধরা পড়ে সমস্যা। কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেড়ে গেলেই ত্বকে উপসর্গ দেখা যায়। এই ক্ষেত্রে ত্বকের তলায় ফ্যাটও জমা হয়, আর এর থেকেই শুরু হয় নানা সমস্যা। আজ জেনে নিন, ত্বকে কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেছে।
# শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই অনেক সময় চাকা চাকা ফ্যাটভর্তি র্যাশও দেখা দিতে পারে ত্বকে। তবে এগুলো সাধারণ র্যাশের থেকে বেশ খানিকটা পৃথক। র্যাশগুলোতে হলদেটে ভাবও থাকে। বিশেষ করে চোখের উপরে দেখা যায় এক ধরনের ফোলা ফোলা ভাব।
# আবার অনেক সময় ত্বকে মোমের মতো ফোলা ভাবও দেখা দেয় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে। এমন দাগকে অনেকেই আবর অ্যালার্জির সমস্যা ভেবে ভুল করে বসেন। এই উপসর্গ দেখলে সতর্ক হতে হবে।
# আবার অনেক সময় হঠাৎ কিছু দিনের জন্য লালচে ভাবও দেখা দেয় ত্বকে। তা আবার সেরেও যায় দিন কয়েকের মধ্যেই। এটিই হলো কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ারই লক্ষণ।
# সাধারণ শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে রক্তসঞ্চালনও ব্যাহত হয়। যে কারণে শরীরের কোষে কোষে রক্ত পৌঁছাতে পারে না। আর তখন ত্বক বিবর্ণ দেখায়। ত্বক ফ্যাকাশে বা বিবর্ণ হয়ে যাওয়ায় কোলেস্টেরল বৃদ্ধির উপসর্গও হতে পারে।
# কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে অনেক সময় পায়ের তলায়, উরুতে নীলচে লাল রঙের ফুসকুড়ির আধিক্যও দেখা যায়। এমনটি দেখলে সময় অপচয় না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org