দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে বলিউড নায়িকারা কিন্তু বিভিন্ন রকম পানীয়ের উপর ভরসা রাখেন। নায়িকাদের মতো জেল্লাদার ত্বক আপনারও কী চাই? জেনে নিন, কোন পানীয়ে চুমুক দিলে পাবেন এমন ঝলমলে ত্বক।
সব মেয়েই কমবেশি সাজগোজ করতে ভালোবাসেন- আর সেটিই স্বাভাবিক। তবে ত্বক ভিতর থেকে জেল্লাদার হলে খুব বেশি মেকআপ করারও প্রয়োজন পড়ে না। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে বলিউড নায়িকারা কিন্তু বিভিন্ন রকম পানীয়ের উপরেই ভরসা রাখেন। নায়িকাদের মতো জেল্লাদার ত্বক আপনারও চাই? আজ জেনে নিন, কোন পানীয়ে চুমুক দিলে পাবেন নায়িকাদের মতো ঝলমলে ত্বক।
শসার রস
হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শসা দারুণ কাজ করে। সেইসঙ্গে শসা খেয়াল রাখে ত্বকের। তাই ত্বকের বাড়তি জৌলুস পেতে অস্ত্র হতে পারে এই শসা। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান ত্বকের যাবতীয় টক্সিন বের করে দেয়। শরীর আর্দ্র রাখার পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা কমাতেও শসা দারুণভাবে কাজ করে। একটা শসার সঙ্গে তরমুজ ও তুলসি পাতা মিশিয়ে রস বানিয়ে খেলে আরও অনেক উপকার পাবেন। তুলসি ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যাতেও এটি দারুণ উপকারী।
গ্রিন টি
গ্রিন টি। এই চায়ের স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আলাদা করে কিছুই বলার নেই। ওজন কমানো থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা- গ্রিন টি’র জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের যত্নেও এর অনবদ্য ভূমিকা বিদ্যমান। গ্রিন টি’তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের প্রতিটি কোষকে সজীব করে রাখে। যে কারণে বাইরে থেকে ত্বকে ফুটে ওঠে জেল্লা।
হলুদ, লেবু ও মধুর রস
ওজন কমাতে হলে লেবু-মধুর মিশ্রণ খুবই উপকারী। অনেকেই সেই উদ্দেশ্যে খেয়েও থাকেন এটি। তবে এই মিশ্রণ ত্বকের জেল্লা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই মিশ্রণে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো কাজ দেয়। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে এই পানীয় বিশেষভাবে উপকারী। লেবু-হলুদের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের যাবতীয় সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। তাই চকচকে ত্বক পেতে খেতে পারেন এই পানীয়তে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org