দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মূলত ক্যালশিয়াম হাড়ের যত্ন নেয়। তাই ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলেই তার প্রভাব পড়ে হাড়ের উপরে। কী কী সমস্যা দেখা দেয় সেই ক্ষেত্রে?
সুস্থ থাকার বেশ কিছু উপায়ও রয়েছে। যারমধ্যে অন্যতম হলো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট যেমনিভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া জরুরি, তেমনি ভিটামিন, মিনারেল ডায়েটের মধ্যে থাকাও প্রয়োজন। মিনারেলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্যালশিয়াম। বয়স যতো বাড়তে থাকে, শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতিও দেখা যায়। অনেকেই আবার ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্টও খান। তবে তাতেও বিশেষ কোনও রকম লাভ হয় না। তবে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি যে আদতেও দেখা দিয়েছে, সেটি বাইরে থেকে সব সময় বোঝাই যায় না। ক্যালশিয়াম মূলত হাড়ের যত্ন নিতে হবে। তাই ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে তার প্রভাব পড়ে হাড়ের উপরে। কী কী সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এই ক্ষেত্রে?
# ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হলেই পেশিতে ব্যথা, ক্র্যাম্প ও খিঁচুনি অনুভব করতে পারেন। হাঁটাহাঁটি কিংবা নড়াচড়া করার সময় ঊরু এবং বাহুতে ব্যথা ছাড়াও হাত, পা এবং মুখের চারপাশে অসাড়তাও অনুভব হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
# ক্যালশিয়ামের অভাব হলেই প্রবল ক্লান্তিভাব আসতে পারে। সব সময় আলস্য বোধও হতে পারে। এর প্রভাবে তখন অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও ‘ব্রেন ফগ’ও হতে পারে, যা থেকে মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া ও বিভ্রান্তির সৃষ্টিও হতে পারে।
# সাধারণ শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগতে হয়। সে কারণে দাঁতের ক্ষয়, দাঁত ভঙ্গুর, মাড়ি হতে রক্তপাত হওয়া এবং দাঁতের শিকড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
# স্বাভাবিকভাবে শরীরে ক্যালশিয়ামের সামগ্রিক মাত্রা কমে গেলেই তখন শরীর হাড় থেকে ক্যালশিয়াম শুষে নেয়। সে কারণে হাড় ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। আর তখন শরীরে অস্টিওপরোসিস রোগ বাসা বাঁধে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org