দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৪ রমজান ১৪৪৫ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
ইসলাম প্রচারের জন্য এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের কারণে রসুলে কারিম (সা.)-এর জীবদ্দশাতে এখানে ছুটে আসেন সাহাবায়ে কিরাম। সেই সুবাদে ভারতবর্ষের প্রথম মসজিদ।
এই মসজিদটি ভারতের কেরালা রাজ্যের ত্রিসুর অঞ্চলে অবস্থিত। মসজিদটির সম্মুখভাগে স্থাপিত শিলালিপি অনুযায়ী জানা যায়, পঞ্চম হিজরি মোতাবেক ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে সাহাবি মালিক বিন দিনার (রা.) এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয়দের কাছে মসজিদটি ‘চেরামান জুমা মসজিদ’ নামেই পরিচিত। মালিক ইবনে দিনারই ছিলেন এই মসজিদের প্রথম ইমাম। তাঁর পরবর্তী সময় হাবিব ইবনে মালিক ইমাম নিযুক্ত হন।
একাদশ শতাব্দীতে মসজিদটির সংস্কার এবং পুনর্র্নির্মাণ করা হয়। ক্রমান্বয়ে মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ১৯৭৪, ১৯৯৪ এবং ২০০১ সালে মসজিদের সামনের অংশ ভেঙে আয়তন সম্প্রসারিত করা হয়েছিলো। প্রাচীন এই মসজিদের অভ্যন্তরীণ অংশ, মিহরাব এবং মিনার এখনও আগের মতোই অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। মসজিদের বহির্ভাগ কংক্রিট দিয়ে তৈরি করা হয়। অজু করার জন্য তখনকার নির্মিত পুকুর এখনও আগের মতোই রয়েছে। মসজিদের পাশঘেঁষা খালি জায়গায় দু’টি কবর বিদ্যমান। ধারণা করা হয় যে, এই কবরের একটি হাবিব ইবনে মালিকের, অপরটি তাঁর স্ত্রী মুহতারামা হুমায়রার হতে পারে। মসজিদটির ভিতরে পিতলে নির্মিত একটি প্রদীপও রয়েছে। এটি হাজার বছর ধরেই প্রজ্বলিত রয়েছে। তবে এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নিয়ে কিছুটা বিতর্কও রয়েছে। মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা মালিক দিনার ছিলেন এক মুসলমান ব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রাণ মানুষ। মালিক দিনার শুধু এই মসজিদটই নয়, বরং কেরালার বিভিন্ন অংশে আরও কয়েকটি মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। কিছু ইতিহাসবিদ তাঁকে মালিক ইবনে দিনার নামে আরেকজন মুসলিম সুফি সাধকের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলার কারণেই তাঁর অবদান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। এই মালিক ইবনে দিনার ছিলেন হজরত হাসান বসরি (র.) এর ছাত্র। যিনি নাকি কখনই ভারতবর্ষে আসেননি। তথ্যসূত্র: https://www.bd-pratidin.com
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org