দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এবার সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ইস্যু ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে প্রাধান্য পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এ অধিবেশনের মাধ্যমেই ইরানের সঙ্গে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ১৯৭৯ সালের পর এই প্রথমবার মার্কিন কোন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এক টেবিলে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। খবরে বলা হয়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ইরানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। ৩০ বছরেরও বেশি সময় পরে এ দু’ দেশের কর্মকর্তারা এ ধরনের বৈঠকে বসছেন। এছাড়া, জন কেরি বৈঠক করবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে। এ বৈঠকে কিভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করে দেয়া যায় তা নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। এ মাসের শুরুর দিকে যখন সিরিয়ায় সামরিক হামলা চালাতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র ঠিক তখনই ঘটে নাটকীয়তা। রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করে দেয়ার রাশিয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় সিরিয়া। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর অধীনে সিরিয়াকে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে অবশ্যই রাসায়নিক সব অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলতে হবে। জানা গেছে, নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ফাঁকে এসব বিষয় নিয়েও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এখানেই ৩৬ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ইরানের প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রথম বৈঠক বসবে। এতে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। সর্বশেষ এমন বৈঠক হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। সেবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। এরপর ২০০৭ সালে মিশরের শার্ম আল শেখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিজা রাইস ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুচেহর মুত্তাকির মধ্যে ‘হ্যালো’ সম্বোধন দিয়েই তাদের কথা শেষ হয়। এছাড়া, তারা কোন আনুষ্ঠানিক সংলাপে বসেন নি।