দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হলিউড সুপারস্টার উইল স্মিথ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, তিনি গত রমজান হতে নিয়মিতভাবে কোরআন পাঠ করে আসছেন। এটি তার ভালোও লেগেছে।
উইল স্মিথ বলেন, ‘গত রমজানে আমি মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআন পড়েছি। কোরআনের সরলতা আমাকে এর প্রতি অনেক আকৃষ্ট করেছে, আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। কোরআন খুবই স্পষ্ট এবং স্ফটিক পরিষ্কার। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনই স্থান নেই। সম্প্রতি স্মিথ বিগ টাইম পডকাস্টে মিশরীয় সাংবাদিক আমর আদিবকে এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন।’
উইল স্মিথ আরও বলেন, কোরআন পাঠে মন সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন হয়। আমি ইহুদি, খ্রিস্টান এবঙ ইসলামের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থগুলোর মধ্যে অসাধারণ মিলও দেখেছি। এটি আমাকে সত্যিই অবাক করেছে।’
স্মিথ বলেন, ‘আমি যতোই কোরআন পড়েছি ততোই বিস্মিত হয়েছি। এটি খুবই সুন্দর করে একটি গল্পের মতো সবকিছু বুঝিয়েছে। তাওরাত, বাইবেল ও কুরআনে আমি মিল পেয়েছি। আমি কখনই আব্রাহামকে পিতা হিসাবে সম্পূর্ণরূপে বুঝতেও পেরেছি। এরপর আইজ্যাক এবং ইসমাইলের সঙ্গে বিচ্ছেদ ও তার উপলব্ধির পূর্ণতাও পেয়েছি। এটি আমার জন্যও খুবই সুখকর ছিল।’
ইতিপূর্বে উইল স্মিথ অস্কার বিজয়ের পর মঞ্চে উঠে বলেন, তিনি জীবনে যখনই চ্যালেঞ্জ অনুভব করেছেন তখনই তা মোকাবেলায় আধ্যাত্মিক সাধনায় মনোযোগ দেন। ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে গবেষণা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, স্মিথের এমন মন্তব্যের পর মোশন পিকচার একাডেমি তাকে ১০ বছরের জন্য অস্কার কিংবা অন্য যে কোন একাডেমি ইভেন্টে যোগদানের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
পরে অবশ্য এক বিবৃতিতে স্মিথ তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান এবং বলেন, ‘আসলে আমি আবেগপ্রবণ হয়েই কথাগুলো বলেছি। মঞ্চে এভাবে বলা আমার মোটেও ঠিক হয়নি। সেজন্য আমি ক্ষমা চাইছি ,আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org