দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ইরানের পাল্টা হামলার হুমকির পর পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ইসরাইলের কোনো দূতাবাস কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত তেলআবিবের কোনো স্থাপনাতে যাতে ইরান পাল্টা হামলা না চালায়- সে জন্য তুরস্কের দ্বারস্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলার পর হতেই মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ইসরায়েলের অবকাঠামোতে ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান হামলা করার ঘোষণা দেওয়ার পর হতে এই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
ইরানের মাথা ঠাণ্ডা করতে তুরস্ক ছাড়াও চীন ও সৌদি আরবকে অনুরোধ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্লিঙ্কেন দফায় দফায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে ফোনালাপও করেছেন।
ম্যাথিও মিলার আরও বলেন, ফোনালাপে ব্লিঙ্কেন বলেন- মাথা গরম করে হুটহাট কোনো পদক্ষেপ নিলে তাতে ইরানসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর তেহরান এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর হতে ওই অঞ্চল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সতর্কাবস্থায় রয়েছে। দামেস্কে ওই হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরসিজি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ অন্তত ৭ সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছেন। -খবর আনাদোলুর
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org