দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার শিশু বেড়ে ওঠার সময় কেবলমাত্র দুধভাত ও শাকসব্জি খাওয়ানোই কিন্তু শেষ কথা নয়। বরং তার খাওয়া-দাওয়ার রুটিনেও আনতে হবে বদল।
গদ বাধা সেই কথা- দুধ না খেলে ভালো ছেলে বা ভালো মেয়ে হওয়া যায় না। অনেক অভিভাবকেরই কিন্তু এমন ধারণা। তাই প্রতিদিন যুদ্ধ করে হলেও শিশুকে দু’বেলা দুধ খাওয়াতে বদ্ধপরিকর অভিভাবকরা। তবে পুষ্টিবিদরা অবশ্য অন্য কথা বলেছেন। তাদের মতে, বেড়ে ওঠার সময় শিশুকে শুধু দুধ, ভাত ও শাকসব্জি খাওয়ানো শেষ কথা নয়। বরং তাদের খাওয়া-দাওয়ার রুটিনেও আনতে হবে বদল।
স্বাস্থ্যকর নাস্তা
সকালের টিফিনে শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে হবে। তাহলে দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি থাকবে শিশুর। চকোলেট, চিপ্স খাওয়ার প্রতি ঝোঁক কমে আসবে। শিশুর জন্য সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন স্যান্ডউইচ বা সবজি খিচুড়ি।
সন্তানকে নিয়ে খেতে বসুন
অনেক বাবা-মা সন্তানকে আগে খাইয়ে পরে খেতে বসেন। অনেক বাড়িতেই এমন নিয়ম দেখা যায়। একসঙ্গে খেতে বসলে শিশু নিজে থেকেই অনেক কিছু শিখবে। খাবার নষ্ট করার প্রবণতাও তখন কমবে। যেমন শাকসব্জি খেতে শিখবে।
ভাজাভুজি কম খাওয়াতে হবে
সব সময়ই দেখা যায় মুখরোচক, ভাজাভুজি খাবার পেলে শিশুর আর কিছুই চাই না। ভাত, ডাল, মাছ দেখলে যতো বায়না তাদের। তবে শিশুর বায়না মেটাতে ভাজাভুজি বেশি না খাওয়ানই ভালো। তাতে সাময়িকভাবে শিশু খুশি হলেও পরে শারীরিক নানা সমস্যাও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মে ৯, ২০২৪ 4:28 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি ঘুমের ঘোর কাটতে বেশ সময় লাড়ে। অনেকক্ষণ ঘুম…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী স্পেশালিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় সাদাকালো যুগে টিভি নাটকের প্রিয় মুখ ছিলেন অভিনেত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. একিউএম বদরুদ্দোজা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাড়ির উঠোনে লড়াই করছে অজগর সাপ এবং কুমির। একে অপরকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ আশ্বিন ১৪৩১…