দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই চিকন হওয়ার জন্য রাতের খাবার না খেয়ে থাকেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এই ধরনের অনিয়ম এক এক জনের শরীরে এক এক রকম প্রভাবও ফেলতে পারে। তাই জিমে না গেলেও কোনও খাবার বাদ দেওয়া যাবে না মোটেও।
গরমের এই সময় ঘরের কাজ করতে প্রাণ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। শরীরচর্চা করার কথা ভাবাও যেনো ভয় লাগে। তবে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য শরীরচর্চা করে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে দুম করে কসরত বন্ধ করে দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। শরীরের বাড়তি ক্যালোরি যদি ঝরিয়ে ফেলতে নাই পারেন তা শরীরের আনাচে-কানাচে জমতে শুরু করে। বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই রাতে কিছুই খান না। এক প্রকার সেই ভয় থেকে আপনিও রাতের খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে এমন অভ্যাসে শরীরের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না তো?
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এই ধরনের অনিয়ম এক একজনের শরীরে এক এক রকম প্রভাবও ফেলতে পারে। তাই জিমে না গেলেও কোনো খাবারই বাদ দেওয়া যাবে না। মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রুখতে বরং গোটা দিন ধরে অল্প অল্প করে খাবার খাওয়া যেতেই পারে। সেই খাবার যেনো সুষম হয়। অর্থাৎ প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজে সমৃদ্ধ থাকে।
রাতে খাবার না খেলে শরীরে কী ধরনের ক্ষতি হবে?
# ডিনার অর্থাৎ রাতের খাবার না খেলে বিপাকহারজনিত সমস্যা হতে পারে। যে কারণে ওজন ঝরানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
# পুষ্টিবিদদের মতে, রাতের খাবার না খেলে উল্টো খিদে আরও বেড়ে যেতে পারে। অনেকের মধ্যে ‘বিঞ্জ ইটিং’-এর প্রবণতাও বেড়ে যায়। যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
# হঠাৎ এই পরিবর্তনে রক্তে শর্করার মাত্রারও হেরফের হতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে খাবারে অনিয়ম কিছু ক্ষেত্রে বিপজ্জনকও হয়ে দাঁড়াতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org