দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অর্থায়নে পরিচালিত বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পে নিবিড়ভাবে কাজ করার লক্ষ্যে দুই পক্ষ এই চুক্তি স্বাক্ষর করে।
এই অংশীদারিত্ব ক্লাইমেট-স্মার্ট চাষাবাদ অনুশীলনে তথ্য, কৃষি উপকরণ এবং বিশেষায়িত আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষি ও অ্যাকুয়াকালচার এই দুই ক্ষেত্রেই কৃষকদের জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।
আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ এবং উইনরক ইন্টারন্যাশনালের বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক নাসির চৌধুরী এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন – উইনরকের ক্লাইমেট চেঞ্জ সিনিয়র টেকনিক্যাল লিড জাকিয়া নাজনিন, লাইভলিহুডস অ্যান্ড স্কিলস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট লায়েল মো. জহিরুল ইসলাম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড নলেজ ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট নুসরাত খান, আইফার্মারের ভিপি অব ফিল্ড অপারেশন ফরহাদ জুলফিকার রাফেল ও হেড অব ফার্মার ফাইন্যান্সিং অপারেশনস কল্লোল কুমার রায়। দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর দেব কুমার নাথ, ইমপ্যাক্ট অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ আদিব শরীফ এবং মার্কেটিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল অ্যাক্টিভেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মায়েশা বিনতে মাহবুব।
১১টি জেলার কৃষি এবং মৎস্যজীবী পরিবারকে আরও বেশি জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব পাচারের ওপর প্রভাব নিয়ে কাজ করাই উইনরক ইন্টারন্যাশনালের বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পের লক্ষ্য। নীতি ও কাঠামোগত ফলাফলগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের সাথেও কাজ করবে প্রকল্পটি। আইফার্মারের সাথে এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণের ৫টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় জলবায়ু-সহিষ্ণু কৃষি এবং অ্যাকুয়াকালচারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
সমন্বিত কৃষি-অর্থায়ন, কৃষি উপকরণের ক্ষেত্রে পরামর্শ ও জলবায়ু-সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে বীমার ওপর গুরুত্বারোপ করে আইফার্মারের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সাথে এই অংশীদারিত্ব ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত আমাদের লক্ষ্যপূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
এ বিষয়ে বি-পিইএমএস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক নাসির চৌধুরী বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আরও বেশি জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপ্রবণ মানুষদের সাথে গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ পাবো।”
প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে এমন সব স্থানে স্থাপন করা হবে আইফার্মার সেন্টার; যেখান থেকে কৃষকরা প্রয়োজনীয় সবরকম সহযোগিতা পাবেন। এই সহযোগিতা জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ কৃষক জনগোষ্ঠীর মাঝে আনুষ্ঠানিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ুগত অনিশ্চিত পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সহিষ্ণুতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org