দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময় প্রযুক্তি আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন এআই টুলস কাজ অনেকটাই কমিয়ে এনেছে। আমরা অনেক সময় নানা রকমের গান শুনে থাকি, তবে পরে তার লিরিক্স মনে থাকে না। গানটি খুঁজে পেতে আমাদের বেশ সমস্যা হয়। তবে এবার শিস দিয়ে গান খুঁজতে পারবেন।
অনেক সময় আমরা গানের লিরিক্স মনে করতেও পারি না। এই কথা মাথায় রেখেই এক নতুন ফিচার ‘হুম-টু-সার্চ’ নিয়ে এলো ইউটিউব। এই ফিচারটি দ্রুত কোনো গান খুঁজে দিতে পারবে।
ইউটিউবের নতুন এই ফিচারে ৩ সেকেন্ড কোন গান হুম হুম করে কিংবা শিস দিয়ে গাইলেই (একই সুরে) গানটি খুঁজে পাওয়া যাবে সহজেই। নির্দেশ পাওয়ার পর ইউটিউব তাদের লাইব্রেরিতে একই সুরের কোনো গান রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করবে।
আপাতত ইউটিউবের হুম-টু-সার্চ ফিচার কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষ হলে অ্যাপ ব্যবহারকারী সবাই এই সুবিধাটি পাবেন। এই ফিচারের জন্য অ্যাডভান্স আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হয়।
যেভাবে ব্যবহার করবেন এই ফিচারটি
# প্রথমেই ইউটিউব অ্যাপ খুলুন, তারপর উপরের ডান দিকে সার্চ আইকনে ক্লিক করতে হবে।
# এরপর মাইক্রোফোন আইকনে ট্যাপ করে হুম-টু-সার্চ ফিচার অন করতে হবে।
# ইউটিউবকে আপনার মাইক্রোফোন ব্যবহারের অনুমতি দিন। এখন হুম, শিস বা গুনগুন করে গান করতে থাকুন।
# ইউটিউব এবার আপনাকে একই সুরের গানের রেজাল্টটি দেখাবে।
# বর্তমানে বিশ্বে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি। অনেকের কাছেই ইউটিউব যেমন বিনোদনের মাধ্যম, আবার অনেকের কাছেই আয়ের অন্যতম উৎসও হলো এই ইউটিউব।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org