দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইসক্রিম থেকে শরবত কিংবা রান্নায় খেতে পারেন পাতিলেবু। প্রতিদিন লেবু খেলে বশে থাকবে ‘হিট’, আবার শরীরও থাকবে ‘ফিট’।
ভিটামিন সি’তে ভরপুর লেবু শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ায়, সেইসঙ্গে প্রতিদিনের ডায়েটেও লেবু থাকাটা জরুরি বলে মনে করা হয়। ম্যাগনেসিয়াম-পটাসিয়ামে ভরপুর লেবু। প্রবল গরমে শরীর সুস্থ রাখতে লেবুর উপযোগিতা অনেক বেশি।
তবে প্রতিদিন খাবার পাতে পাতিলেবু চিপে খাওয়াটা যদি একঘেয়ে হয়েই থাকে, তাহলে বরং বানিয়ে নিতে পারেন মকটেল হতে আইসক্রিম, সুস্বাদু রকমারি নানা পদ।
দিন শুরু হোক লেবু দিয়েই
ঘুম থেকে উঠেই ঠাণ্ডা পানিতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। যদি ওজন কমাতেই চান, তাহলে ঈষদুষ্ণ পানিও পাতিলেবু চিপে খেতে পারেন।
লেবুর আইসক্রিম বানিয়ে খান
লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে, স্বাদ মতো বিটলবণ এবং সঙ্গে মধু মিশিয়ে শরবত বানিয়ে নিন। লেবুর রস মিশিয়ে আইসক্রিম বসানোর যে কোনও ছাঁচে ঢেলে জমিয়ে নিন। এতে করে তৈরি হয়ে যাবে লেবুর আইসক্রিম।
লেবুর শরবত
প্রবল গরম থেকে এসে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পাতিলেবুর শরবত খেলে যেনো প্রাণ জুড়িয়ে যায়। গরমে ঘামে শরীর থেকে লবণ বেরিয়ে যায়। আর তখন ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। পাতিলেবুর রস, লবণ এবং চিনি কিংবা মধু দিয়ে শবরত বানিয়ে খেলে তা যেমন দ্রুত শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করবে, তেমনি দ্রুত শক্তিও জোগাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org