দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেকারত্বের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে গ্বালিয়র স্টেশনে ঝাঁসি-ইটাওয়া এক্সপ্রেসের সামনে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন এক যুবক! কিন্তু অদ্ভুতভাবে বেঁচে গেলেন ওই যুবক! ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে।
দীর্ঘদিন ধরে বেকার জীবন-যাপন করছেন। তাই বেকারত্বের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে গ্বালিয়র স্টেশনে ঝাঁসি-ইটাওয়া এক্সপ্রেসের সামনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। নিজেকে শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন ওই যুবক! অদ্ভুতভাবে বেঁচে গেলেন ওই যুবক! দীর্ঘ সময় তিনি আটকে রইলেন ট্রেনের ইঞ্জিনের দু’টি চাকার মাঝখানে। পুরো ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সংবাদমাধ্যম ‘ফ্রি প্রেস জার্নাল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ওই যুবকের নাম রাকেশ শাক্যওয়ার। তিনি ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ শহরের বাসিন্দা। বেকারত্বের কারণে হতাশ হয়ে তিনি আত্মহত্যা করার জন্য সম্প্রতি গ্বালিয়র স্টেশনে যান। ঝাঁসি-ইটাওয়া এক্সপ্রেসকে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসতে দেখেই রেললাইনের উপর ঝাঁপ দেন ওই যুবক। তবে সতর্ক ট্রেনচালকের তৎপরতায় তার জীবন রক্ষা পায়। ট্রেনচালক ব্রেক কষার কারণে তিনি প্রাণে বাঁচলেও ইঞ্জিনের দু’ই চাকার মাঝখানে আটকে যান। পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। অনেকক্ষণ একইভাবে আটকে থাকার পরে তাকে উদ্ধার করে আরপিএফ। দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাণে বেঁচে গেলেও আঘাত লাগার কারণে ওই যুবকের দু’পায়ের পাতা অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org