হাঁপানিতে খুব কষ্ট পেলে যে ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই হাঁপানিতে কষ্ট পান। কারণ হলো হাঁপানির টান বড়ই কষ্টকর। যদি প্রতিদিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে দীর্ঘ সময় থাকতে হয় তাহলে কষ্ট আরও বাড়ে। প্রতিনিদ কোন ব্যায়ামে অভ্যাস করলে কষ্ট অনেকটা কমে যাবে।

হাঁপানিতে বড়ই কষ্ট, কারণ তাদের স্বাস নিতে অনেক সমস্যা হয়। যাদের এই রোগটি রয়েছে, কেবলমাত্র তারাই বোঝেন। সঙ্গে কাশি, বুকে ব্যথা ও বিনিদ্র রাত্রিযাপন। পারিপার্শ্বিক বাড়তে থাকা দূষণের কারণে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। হাঁপানিতে আক্রান্ত মানুষের কষ্ট বাড়ছে নানা কারনে। অনেকেই ভাবেন হাঁপানি থাকলে কোনও রকম ব্যায়াম করা যাবে না। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, শারীরিক কসরত করলে হাঁপানির টান বরং কম হবে। তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা হাঁপানির রোগীদের জন্য খুবই ভালো উপকারে আসে।

# প্রতিদিন অল্প কিছুটা সময় বের করে ব্রিদিং এক্সারসাইজ় করাটা জরুরি। এই ধরনের ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যাস করলে ফুসফুসে বাতাস ঢোকা ও বের করার পরিমাণ বাড়ে। যে কারণে ফুসফুসের শক্তিও তখন বাড়ে।

Related Post

# প্রথমেই ম্যাটে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখতে হবে। তারপর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলতে হবে। তারপর মাথা বাঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। প্রথম দিকে এই আসন ৩ বার করুন। এটিকে বলা হয় ভুজঙ্গাসান। নিয়মিত করলে বেশ উপকার পাবেন।

# বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাঁপানির রোগীদের জন্য প্রাণায়াম খুবই উপকারী। কপালভাতি প্রতিদিন অভ্যাস করতে পারেন। আরামদায়ক কোনও একটি আসনের ভঙ্গিতে বসতে হবে, সেটি পদ্মাসন, বজ্রাসন কিংবা সুখাসন হতে পারে। মাথা এবং মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। চোখ বন্ধ করে আরামদায়ক অবস্থায় রাখুন গোটা শরীরটি। স্বাভাবিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্বাস নিন। শ্বাস ছাড়ার সময় পেটের পেশীর উপর কিছুটা চাপ দিতে হবে। দ্রুত শ্বাস নিতে এবং ছাড়তে হয়। সবে শুরু করলে প্রতি ১০ বারে একটি সেট করুন। ৫টি সেটে সম্পূর্ণ হয় এই প্রাণায়ামের অভ্যাস।

# অনুলোম-বিলোম শ্বাসের সমস্যা কমাতে পারে। প্রথমেই ডান দিকের নাকের ছিদ্র চেপে ধরে, বাঁ দিক দিয়ে শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার কাজ করতে হবে। এরপর একইভাবে বাঁ দিকের নাকের ছিদ্র চেপে ধরে, ডান দিক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ এবং বর্জনের অভ্যাস করতে হবে। এই প্রাণায়ামে শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে হবে ৩টি ধাপে। এতেও বেশ উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জুলাই ৭, ২০২৪ 11:40 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন: বাংলাদেশ পর্ব আয়োজন করলো বেসিস

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১১তম বারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস…

% দিন আগে

অপু বিশ্বাস এবার ইউটিউব চ্যানেলে উপস্থাপক!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এবার নতুন এক পরিচয়ে হাজির…

% দিন আগে

পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধ: ৬ সেনা ও ৬ সন্ত্রাসী নিহত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের স্পিনওয়াম এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন লেফটেন্যান্ট…

% দিন আগে

ইরানের হামলার সময় বাঙ্কারের মধ্যে ইসরায়েলি জুটির বিয়ে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একদিকে ইরানের হামলা আর অন্যদিকে জীবন বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয়। তবে…

% দিন আগে

সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২১ আশ্বিন ১৪৩১…

% দিন আগে

সকালে চোখ খুলেই হাতে তুলে নেন মোবাইল: কোন বিপদ ঘটতে পারে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি ঘুমের ঘোর কাটতে বেশ সময় লাড়ে। অনেকক্ষণ ঘুম…

% দিন আগে