দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে গ্রামীণ ফোনের থ্রিজি। গতকাল রোববার টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এর উদ্বোধন করেন।
স্বল্প পরিসরে রাজধানীর কিছু এলাকায় তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সেবা (থ্রিজি) চালু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন। গতকাল রবিবার প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন আনুষ্ঠানিকভাবে এই থ্রিজি সেবার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাহারা খাতুন বলেন, গ্রামীণফোনের থ্রিজি সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। গ্রামীণফোন দ্রুত সারাদেশে থ্রিজি সেবা পৌঁছে দেবে সেই আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকরা যাতে সুলভমূল্যে এই সেবা পায় সে বিষয়েও গ্রামীণফোনকে উদ্যোগী হতে হবে।
গ্রামীণফোনের মূল প্রতিষ্ঠান টেলিনর গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও জন ফ্রেডরিক বাকসাস অনুষ্ঠানে বলেন, নতুন এই মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রাহকরা নতুন নতুন সেবা উপভোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশে গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ বলেন, অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে থ্রিজি সেবা চালু হয়ে যাবে। আর চলতি বছরের মধ্যে সব বিভাগীয় শহর এবং আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৬৪টি জেলায় থ্রিজি প্রযুক্তি পৌঁছে দেবে গ্রামীণফোন।
অনুষ্ঠানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত রাগনে বিরটে লান্দ, বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদসহ গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত থ্রিজি তরঙ্গের নিলামে অংশ নিয়ে গ্রামীণফোন ১০ মেগাহার্টজ এবং বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল ৫ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ কেনে। নিলামে ওঠা দামের প্রথম কিস্তি পরিশোধ করে চার প্রতিষ্ঠানই ইতোমধ্যে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সেবা দেয়ার লাইসেন্স পেয়েছে। রবি ইতোমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পরীক্ষামূলক থ্রিজি কার্যক্রম শুরু করেছে। গ্রাহকরা তাদের পুরনো সিমের প্যাকেজ বদলালেই থ্রিজি সেবা পাবেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি এই চার অপারেটর।