দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এমনকি পানিও নয়। সঠিক নিয়ম মেনে ও সঠিক মাত্রায় না খেলে ‘ডিটক্স ওয়াটার’ও শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আমাদের প্রত্যেকেরই দিনে কমবেশি দুই থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়া দরকার। যাতে করে শরীর তার প্রয়োজনীয় পানি পায় ও দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে এভাবে মেপে পানি খাওয়া আর হয়ে ওঠে না! সুস্থ থাকতে হলে পানির সঙ্গে কোনও রকম আপস করলে কিন্তু চলবে না। সে কারণে অনেকেই ভরসা রাখেন ‘ডিটক্স ওয়াটার’ এর উপর।
শরীরে পানির ঘাটতি না হলে হজম ভালো হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার জন্যও ‘ডিটক্স ওয়াটার’ ভালো একটি দাওয়াই। এছাড়াও, ভিটামিনে ভরপুর এই পানি নিয়ম করে খাওয়া ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। নানা রকম ফল ভেজানো পানি খাওয়ার কারণে পেট ভর্তি থাকে, খিদেও তখন কম পায়। ফলস্বরূপ ওজন ঝরে একেবারে অনায়াসেই। সেই লোভে পড়েই অফিসে বসে হোক ও বাড়িতে ‘ডিটক্স ওয়াটার’-এ চুমুক চলতে থাকে। তবে কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য কিন্তু মোটেও ভালো নয়। এমনকি পানিও নয়। সঠিক নিয়ম মেনে ও সঠিক মাত্রায় না খেলে ‘ডিটক্স ওয়াটার’ও শরীরের ক্ষতিকর হতে পারে।
# প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মাত্রায় ডিটক্স ওয়াটার খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করে দেয়। অতিরিক্ত প্রস্রাবের কারণে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে ক্লান্তি ভাব চলে আসে। সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব, বমি বমি ভাব এমনকি মাথার যন্ত্রণাও হতে থাকে। শরীরের কার্যক্ষমতাও তখন কমে যায়।
# প্রত্যেকের ওজন ও কার্যক্ষমতার উপর নির্ভর করে তার শরীরের পানির চাহিদার পরিমাণ। কে কতোটুকু পানি খাবেন, তা নির্ভর করে ওই পানির চাহিদার উপরে। বেশ কিছু অসুখে পানির পরিমাণ আরও কমাতে হয়। সেই ক্ষেত্রে বেশি পানি খেলে সেটি শরীরেই জমতে শুরু করে। শরীরে পানি জমা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়।
# ডিটক্স ওয়াটার অতিরিক্ত পান করলে খাবার ইচ্ছে তখন কমে যায়। যে কারণে শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের অভাবও হতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন এবং খনিজ না থাকলে নানা রকম শারীরিক সমস্যাও শুরু হতে পারে।
# ডিটক্স ওয়াটার সাময়িকভাবে ওজন ঝরাতে সাহায্য করে এটি ঠিক। তবে এই অভ্যাস দীর্ঘদিন চলতে থাকলে বিপাকহার কমেও যেতে পারে। আর তখন গ্যাসের সমস্যা শুরু হতে পারে। আর তখন শরীরের পেশিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। এই পদ্ধতিতে ওজন হ্রাস কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
# পেশিতে ব্যথা, বুকে ব্যথা, কিডনি এবং লিভারের সমস্যা পর্যন্তও হতে পারে। যে কারণে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি খেলে হৃদযন্ত্রের উপরেও চাপ পড়তে থাকে। যে কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তখন বাড়তে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ১, ২০২৪ 3:36 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…