দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গত বছর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ভারতের প্রখ্যাত জ্যোতিষী প্রশান্ত কিনি। তিনি বলেছিলেন, চলতি বছরের মে, জুন, জুলাই ও আগস্টে শেখ হাসিনাকে সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় তাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হতে পারে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ হতে শেখ হাসিনার সরে দাড়ানো ও দেশত্যাগের পর এক্সে করা প্রশান্তের ওই ভবিষ্যদ্বাণী আবার সামনে উঠে এসেছে। তিনি নিজেও পুরোনো ওই পোস্টটি নতুন করে শেয়ার করেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে করা ওই এক্স পোস্টে প্রশান্ত লিখেছিলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমার ভবিষ্যদ্বাণী হলো, ২০২৪ সালের মে হতে আগস্ট মাস পর্যন্ত তাকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। তাকে হত্যার চেষ্টাও চালানো হতে পারে।’ পোস্টটি নতুন করে শেয়ার দিয়ে প্রশান্ত লিখেছেন যে, ‘শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের আগস্টে সমস্যায় পড়বেন, সেটি আমি আগেই বলেছিলাম।’
প্রশান্ত ওই পোস্টটি নতুন করে শেয়ারের পরই তাতে লাইক এসেছে সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি। মন্তব্যও করেছেন অনেক মানুষ। মন্তব্যে অনেকেই প্রশান্তের কাছে নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও জানতে চান। অনেকেই আবার তার প্রশংসাও করেছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রিত্ব হতে পদত্যাগ করে দুপুরে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org