দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ন্যানো প্রযুক্তি নিয়ে প্রযুক্তি জগতে খুব আলোচনা, জল্পনা-কল্পনা চলছে অনেক দিন ধরেই। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রথমবারের মত পুরোপুরি ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হলো বিশ্বের প্রথম ন্যানো কম্পিউটার। আর এর মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের ডিজিটাল যন্ত্র তৈরির দ্বার উন্মোচিত হলো।
‘কেডরিক’ নামের প্রথম এই ন্যানো কম্পিউটার এখন পর্যন্ত আর দশটা কম্পিউটারের মতো পুরোপুরি পূর্নাঙ্গ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এই অবস্থাতেই এটি প্রচলিত যে কোনো কম্পিউটারের চেয়ে আকারে অনেক ক্ষুদ্র, দ্রুত এবং অনেক বেশি দক্ষ। ভবিষ্যতে সিলিকন-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবস্থা কার্বন-ভিত্তিক ন্যানো প্রযুক্তি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে এমনটা অনেকদিন ধরেই ভেবে আসছিলেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বাস্তবে বারবারই কার্বন-ভিত্তিক ন্যানো প্রযুক্তিতে কম্পিউটার তৈরি করাটা অত্যন্ত দুরূহ প্রতিপন্ন হয়ে আসছিলো তাদের কাছে। এই দুরূহ কাজটাই করলেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকরা। বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ‘ন্যাচার’ এ এই বিষয়ে প্রবন্ধও প্রকাশ করেছেন তারা।
নিজেদের আবিষ্কার সম্পর্কে বলতে গিয়ে গবেষক দলের প্রধান প্রফেসর সুভাশিষ মিত্র বলেন, “ন্যানো প্রযুক্তি নিয়ে যে পরিমাণ কথা হয়েছে, কাজ হয়েছে তার তুলনায় অনেক কম। আমরা সেই কাজের স্বাক্ষরই রাখলাম।” কেডরিকের বর্তমান দক্ষতা সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে আরেক গবেষক ম্যাক্স শুলেকার বলেন, “যদি মানুষের উদাহরণ দিয়ে বোঝাই, তাহলে বলতে হয় কেডরিক বর্তমান হাতের পাঁচ আঙ্গুল গুণতে পারে, বর্ণমালা চেনে। কিন্তু একে যদি পূর্ণাঙ্গ মেমরি দেয়া যায়, তাহলে এর কর্মদক্ষতাকে কোনো সীমার মধ্যে ফেলে বর্ণনা করা যাবে না।” সিলিকনভিত্তিক ব্যবস্থার উত্তরসূরি হিসেবে ভবিষ্যতে এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে ছাড়া যাবে, এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন তারা।
তথ্যসূত্র: বিবিসি