দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রসেসিং ক্ষমতা বিশেষ করে হিসাব নিকাষের গতির উপর নির্ভর করে কোন নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবীর অগ্রগন্য কম্পিউটারগুলোকে সুপার কম্পিউটার বলা হয়ে থাকে। নানা সময়ে নানা দেশ অনেক সুপার কম্পিউটার তৈরি করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারটি তৈরি করল।
বজ্রপাত এবং বৃষ্টির জাপানি দেবতার নামানুসারে অস্ট্রেলিয়ান সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটারটির নাম রাখা হয়েছে রাইজিন। সুপার কম্পিউটারটি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে উন্মোচন করা হয়। অস্ট্রেলিয়ান ব্রডক্যাস্টিং কর্পোরেশন (ABC) এর রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এটি তৈরিতে ৪৫.২ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। প্রতিবছর এটা চালু রাখতে খরচ হবে ১০.৮৫ মিলিয়ন ডলার। এটি পৃথিবীতে ২৭ তম সুপার কম্পিউটার হবে। এর আগের সুপার কম্পিউটারটি চীনের তৈরি।
সুপার কম্পিউটারটি অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ANU) তে রাখা হয়েছে। এর ক্ষমতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ANU এর গবেষকরা বলেন, ৭ বিলিয়ন মানুষ ২০ বছর যাবৎ যে পরিমাণ গাণিতিক সমাধান করতে পারবে সমপরিমাণ কাজ এই কম্পিউটার করতে পারবে মাত্র ১ ঘন্টায়।
সুপার কম্পিউটারটি দেখতে মোটেও আমাদের সাধারণ পিসি’র মতন নয়। এটির আকৃতি একটি ছোট খাট বাড়ি থেকে সামান্য বড়। বলা হচ্ছে, মোট ৫৭ হাজার প্রসেসিং কোর যা ১৫ হাজার সাধারণ পিসির সমান কোর নিয়ে কাজ করবে। এটার মেমরি ১৬০ টেরাবাইট যা ৪০ হাজার সাধারণ পিসির সমান। সাধারণত বড় ধরণের বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে সুপার কম্পিউটারটি ব্যবহৃত হবে। নির্মাতারা জানান এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষক কিংবা আবহাওয়া বিশ্লেষকদের কাজ করার পরিধি বাড়াবে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস