দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেট বহির্বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনলাইনে কেনা যায় এই ই-সিগারেট। কিন্তু খবর বেরিয়েছে, ই-সিগারেটের মাধ্যমে কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়াচ্ছে।
ধুমপানের বিকল্প হচ্ছে এই ই-সিগারেট। এই ই-সিগারেট ব্যবহারের খবর দেখতে দেখতে এক সময় আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এই ই-সিগারেট পানের মাধ্যমে ধুমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে এগিয়ে এসেছেন। আর এই ই-সিগারেট কিনতে পায়ে হেটে যেতেও হয় না। ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার দিলেই ই-সিগারেট এর যন্ত্রপাতিগুলো পাওয়া সম্ভব। এই যন্ত্রটি মূলত চার্যেবল। ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে এটি আবার কম্পিউটারেও চার্য দেওয়া যায়। আর যেহেতু প্রায় সবাই বেশির ভাগ সময় কম্পিউটারে বসে থাকেন তাই কম্পিউটারে চার্য দিতেই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটেছে ওখানেই। কারণ কম্পিউটারে ক্ষতিকর ভাইরাসের জন্য ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেটকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি গবেষকেরা ই-সিগারেটের মাধ্যমে কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণের প্রমাণ পেয়েছেন।
মূলত ই-সিগারেট ধূমপায়ীদের ধূমপানের নেশা কমানো বা ধুমপান থেকে বিরত রাখার একটি ব্যবস্থা। এটা ব্যাটারিচালিত এমন একটা ডিভাইস, যা দেখতে একেবারে সিগারেটের মতোই। সিগারেটের মতোই ধোয়া বের হয়। তবে তাতে ক্ষতিকর নিকোটিন থাকে না, থাকে তরল নিকোটিন। আপেলের মতো ঘ্রাণযুক্ত একটা ফ্লেবার বের হয় এই ধোয়া থেকে। এটি পানের মাধ্যমে একজন ধুমপায়ী ধিরে ধিরে ধুমপান ত্যাগ করতে পারেন। এতে থাকে একাধিক চেম্বার। একটা চেম্বারে থাকে নিকোটিনের দ্রবণ, যাকে গরম করে তোলে অন্য চেম্বারে থাকা আরেকটি ব্যাটারি। এই ব্যাটারি ইউএসবির মাধ্যমে চার্জ দেওয়া হয়।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মূলত অপরিচিত চীনা ই-সিগারেটগুলোর চার্জার ব্যবস্থায় নাকি ক্ষতিকর কোড বসানো থাকে। যখন ইএসবি পোর্টের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া হয়, তখনই ওই ভাইরাস কম্পিউটারে আক্রমণ করে। আর তাই গবেষকেরা ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে খুব পরিচিত ব্র্যান্ডের বাইরে না যাওয়ার জন্যই পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ‘ই-সিগ’ বা ইলেকট্রনিক সিগারেট ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম চালু হয়। বলা হয়, যাঁরা তামাকের সিগারেটে আসক্ত, তাঁদের জন্য ই-সিগ একটি কার্যকর বিকল্প। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তথ্যসূত্র: দি গার্ডিয়ান