দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে বিশ্বমোড়ল আমেরিকার যে কয়টি কট্টর সমালোচক এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ আছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান তার মধ্যে একটি। দেশ দুইটির প্রতিদ্বন্দ্বিতা বর্তমানে বাস্তব জীবন ছাড়িয়ে সাইবার জগতেও ছড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আমেরিকা দাবি করেছে যে, ইরান তাদের নৌবাহিনীর গোপন তথ্যভাণ্ডারে সাইবার হামলা চালিয়ে গোপন তথ্য চুরি করেছে। তবে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ইরান।
আমেরিকার ওবামা প্রশাসন যখন ইরানের রুহানি নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে সংলাপ নতুন করে শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন, তখনই এই হামলার ঘটনা ঘটলো। আমেরিকা দাবি করেছে, তাদের নৌবাহিনীর গোপন তথ্যভাণ্ডার হ্যাক করা এই হ্যাকাররা ইরানের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের পক্ষ থেকে আমেরিকার তথ্যচুরি এবং নজরদারির যতগুলো গোপন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে, সেপ্টেম্বরের এই সাইবার হামলা তার মধ্যে অন্যতম মারাত্মক হামলা হিসেবেই চিহ্নিত করেছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইরানকে আমেরিকা সাইবার জগতে একটি উদীয়মান হুমকি হিসেবেই দেখছে বলেও জানিয়েছে আমেরিকার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।
সাইবার জগতে ইরান এবং আমেরিকার এই দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ২০১০ সালে আমেরিকা এবং ইসরাইলের পক্ষ থেকে ‘স্টাক্সনেট’ নামের একটি কম্পিউটার ভাইরাস ছাড়া হয়, যার উদ্দেশ্য ছিলো ইরানের পরমাণু স্থাপনায় থাকা কম্পিউটার ব্যবহার করে যন্ত্রপাতি অকেজো করে দেয়া। এরপর ‘ফ্লেম’ নামের একটি ভাইরাসও ছাড়া হয় যার কাজ ছিলো কম্পিউটারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য পাচার করা। এছাড়া কম্পিউটার ব্যবহারকারী কী কথা বলছেন তাও পাচার করতে সক্ষম ছিলো এই ভাইরাস৷ এতে ইরানের তেল কোম্পানিগুলো অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
তথ্যসূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল