দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রসুনের কোন গুণ দেখে বাছাই করবেন? বাজার থেকে দেখেশুনে সব্জি কিনে আনেন? ভালো রসুন বাছাই করবেন কীভাবে? ভালো রসুন বাছাই করবেন কোন বৈশিষ্ট্য দেখে?
চাল, ডাল, সব্জি, ফল— অভিযোগ ওঠে যে, সবেতেই পাওয়া যাচ্ছে ভেজাল। কখনও শাক-সব্জি টাটকা দেখাতে তাতে মেশানো হচ্ছে নানা রং। কখনও আবার আপেলের গায়ে পাওয়া যাচ্ছে মোমের পরত!
এবার সেই তালিকায় কী রসুন উঠে এলো? ফলই হোক কিংবা সব্জিই হোক, আসল এবং ভেজালের তফাত করা বেশ মুশকিলের ব্যাপার। তবে সব্জি থেকে মশলা কেনার সময় অবশ্যই দেখে নেওয়া দরকার। এই যেমন ধরুন, সাদা ধবধবে বড় কোয়ার রসুনগুলো। দেখলেই মনে হয় একেবারেই টাটকা। সেটি আদৌ ভালো তো! কোন কোন বৈশিষ্ট্য দেখে বুঝবেন যে রসুনে ভেজাল নেই?
# রসুনের কোয়া একই আকারের হয় না। এতে ছোট-বড় থাকবেই। কেনার সময় সেটি দেখে নিতে হবে।
# রসুনের উপরের পাতলা স্তরটি তবে দুধসাদা হয় না। বরং তাতে খানিকটা ঘিয়ে ভাব থাকবে। যদি রসুনের উপরের সাদা খোসা অতিরিক্ত সাদা কিংবা হলেদেটে হয়, তাহলে সাবাধান হওয়া দরকার। হতে পারে তাতে রং মেশানো রয়েছে।
# কোয়াগুলো ছোট-বড় হলেও, পুরু হওয়ারই কথা। যদি দেখা যায় যে, রসুনের কোয়ার জায়গায়টি ফাঁকা কিংবা নরম, সেই ক্ষেত্রে তাতে ভেজালও থাকতে পারে। রসুনে পানি মেশানোও হতে পারে।
# রসুনের গুণের পাশাপাশি এটি গন্ধের জন্যও রান্নায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রসুনের গন্ধই তার পরিচয়। রসুন ছাড়ালেও যদি গন্ধ না পাওয়া যায়, তাহলে তা ভেজালও হতে পারে।
# কেনার সময় কোনও একটি পানি ভরা পাত্রে রসুনটি ফেলে দেখতে পারেন। যদি এটি ডুবে যায়, বুঝতে হবে যে, ভালো রসুন। ভেজাল হলে তা ভেসে উঠবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org