দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্লাস-সাইজ মানুষের জন্য বাইরের পৃথিবীতে আনন্দ খোঁজা অতো সহজ নয়। প্রায়ই ভুল আকারের পোশাক, সঠিক যন্ত্রপাতির অভাব ও অন্যদের তুলনায় নিজেকে পিছিয়ে পড়া অনুভব করার মতো সমস্যাগুলোও তাদের বাধাগ্রস্ত করে।
তবে এভরি বডি আউটডোর্স (EBO) নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্লাস-সাইজ মানুষদের জন্য নতুনভাবে বাইরের আনন্দ উপভোগের সুযোগ সৃষ্টি করছে।
সম্প্রতি এলা ফুট নামে একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ইবোর সার্ভিস নেন। তিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন।
এলা লিখেছেন যে, আমার মতো আরও কিছু স্থূলাকার শরীরের নারীদের সঙ্গে আমি ইংল্যান্ডের পিক ডিস্ট্রিক্টে হাঁটার পথেও বেরিয়ে পড়লাম। মেঘ ও বৃষ্টির মধ্যে মম টরের চূড়ার দিকে আমাদের কাঙ্ক্ষিত যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো, ৪১ বছর বয়সে, আমি এমন হাঁটার পোশাক পরেছিলাম যা আমার শরীরে একেবারেই ঠিকমতো ফিট হয়েছে। ব্যাকপ্যাক, ওয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট সবকিছুই সঠিকভাবে পরিধান করার কারণে আমি আরামদায়ক অনুভব করছিলাম। এই সাধারণ অথচ গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামগুলোর অভাব স্থূলাকার মানুষদের বাইরের আনন্দ হতে একেবারেই দূরে সরিয়ে রাখে।
ইবো স্থূলাকারদের জন্য শুধু উপযুক্ত পোশাক নয়, বরং বাইরের কাজ করার দক্ষতা শেখানোর জন্য কাজ করছে। তারা প্লাস-সাইজ মানুষের জন্য বিশেষ কোর্সেরও আয়োজন করে থাকে। যেখানে পাহাড়ে হাঁটার কৌশল, রুট পরিকল্পনা, জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজ করতে হয়, এই ধরনের বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে শেখানো হয়।
স্টেপ ওয়েথারেল ও তার সহযোদ্ধারা এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন যাতে প্লাস সাইজের মানুষরা আউটডোর কার্যক্রমে আরও আত্মবিশ্বাসী হতে পারে। এখানে কোনো আকার বা সীমা নেই, তবে ছোট আকারের মানুষদের জন্য অনুরোধ করা হয় অন্য কোর্সে যোগ দেওয়ার জন্য।
এই উদ্যোগ স্থূলাকার শরীরের মানুষদের জন্য বাইরের আনন্দ উপভোগের সুযোগও সৃষ্টি করেছে, যেখানে তারা পিছিয়ে পড়ার ভয়ে থাকবে না বরং আত্মবিশ্বাসী হয়ে আরও এগিয়ে যাবে। দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে অনুবাদিত।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org