দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘সিংহাম এগেইন’র ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনেমাটির নির্মাতা রোহিত শেঠি। নির্মাতা জানিয়েছেন যে, দর্শকদের প্রত্যাশার কথা ভেবেই নাকি এই সংযোজন করা হয়েছে।
ভিলে পার্লের গোল্ডেন টোব্যাকো কারখানায় ‘সিংহাম এগেইন’র অতিরিক্ত দৃশ্যের শুটিং করছেন রোহিত শেঠি। সেইসঙ্গে দিওয়ালিতে মুক্তি বলে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজও চলছে পুরোদমেই।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘রোহিত সেকেন্ডারি কাস্টের সঙ্গে শুটিং করেছেন ও ক্লাইম্যাক্সের এই পরিবর্তনও শেষ মুহূর্তে যোগ করেছেন। তবে বেশ নাটকীয় হতে চলেছে এটি। অনেকগুলো চরিত্র রাক্ষসের পোশাক পরেছিল, বেশ একটা ফোক বেজড টুইস্টও এসেছে তাতে।’
জানা গেছে, শুটিংয়ের প্রথম দিনে ভিলে পার্লের সেটে প্রায় ৫০০ মানুষের ভিড় হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই অজয় শুটিংয়ে যোগ দেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
ওই দৃশ্যটির জনসমাগমেরও নাকি প্রয়োজন ছিল। তাই প্রযোজনা দলের পক্ষ হতে ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া মানুষদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিনেমাটির শুটিং চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ‘সিংহাম এগেইন’ রোহিত শেঠির কপ ইউনিভার্সের পঞ্চম কিস্তি এবং ‘সিংহাম রিটার্নস’ (২০১৪ এর) সিকুয়েল। এই ছবিতে অজয়ের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন অক্ষয়, রণবীর, দীপিকা পাড়ুকোন, কারিনা কাপুর, টাইগার শ্রফ ও অর্জুন কাপুর। জ্যাকি শ্রফ, শ্বেতা তিওয়ারি, দয়ানন্দ শেট্টি, সিদ্ধার্থ যাদব ও আশুতোষ রানাও এই অ্যাকশন ছবিতে অভিনয় করেছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org