দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্টিন জেটপ্যাক! নাম শুনে বোঝার কোন উপায় নেই বস্তুটি কি! বস্তুটি মানুষের জন্য উড্ডয়ন যন্ত্র। মার্টিন জেটপ্যাক ব্যবহার করে মানুষ উড়তে পারবে। নিউজিল্যান্ডের উড্ডয়ন বিষয়ক কর্তৃপক্ষ মার্টিন জেটপ্যাক নামের বিশেষ উড্ডয়ন যন্ত্রটিকে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের অনুমতি দিয়েছিল। সম্প্রতি এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্টিন এয়ারক্রাফট কোম্পানি জেটপ্যাক এর নতুন নকশা করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
পাখিকে উড়তে দেখে মানুষও তার মতন উড়তে চায়। সেটা সম্ভব করতে আবিষ্কৃত হয়েছে নানা উড়োযান বিমান, হেলিকপ্টার, প্লেন ইত্যাদি। তারপরও মানুষের মন ইচ্ছা পূরণ হয় নি। মার্টিন জেটপ্যাক হচ্ছে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন যন্ত্র যা ব্যবহার করে মানুষ আকাশে উড়তে পারবে। নিউজল্যান্ডের এয়ারক্রাফট কোম্পানি মার্টিন এয়ারক্রাফট জেটপ্যাক এর নির্মাতা। জেটপ্যাক প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে উন্মোচিত হয় ২০০৮ সালে। এরপর গবেষণা আরো এগিয়ে যায়। ইতোমধ্যে নিউজল্যান্ডের আকাশে মার্টিন জেটপ্যাক পরীক্ষামূলকভাবে উড্ডয়নের অনুমতি পেয়েছে।
মার্টিন এয়ারক্রাফট কোম্পানি উড্ডয়ন যন্ত্রটির আরো উন্নয়ন করতে চায়। সেজন্য এর নতুন নকশা প্রণয়ন করা হচ্ছে। জেটপ্যাকটি আরো হালকা এবং সহজ ব্যবহার উপযোগি করতেই তাদের এই উদ্যোগ। যেহেতু জেটপ্যাকটি ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক উপরে থাকবে তাই এর আরোহীর নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার আছে। নতুন নকশাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে।
নিউজল্যান্ড বিমান চালনা সংস্থার কাছ থেকে সনদ পাওয়ার বিষয়টি মার্টিন এয়ারক্রাফট কোম্পানির জন্য ছিল একটা মাইল ফলক। প্রতিষ্ঠানটি আগামী বছর নতুন নকশায় বাণিজ্যিকভাবে জেটপ্যাক নির্মাণ শুরু করতে পারে বলে জানায়। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৪ সালের মধ্যে ব্যক্তিগত উড্ডয়ন যান মার্টিন জেটপ্যাক বাজারে পাওয়া যেতে পারে। কোম্পানিটি জেটপ্যাকের কয়েক ধরণের মডেল, প্রোটোটাইপ নিয়ে গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
নিজের করে মার্টিন জেট প্যাক পেতে চাইলে গুণতে হবে ১ লাখ ডলার। প্রথম দিকে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যাবে। তবে কেবল নগদ টাকা নয়, মার্টিন জেট প্যাক এর সাহায্যে উড়তে চাইলে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, উড্ডয়ন সনদ এবং সরকার কর্তৃত প্রদত্ত অনুমতিপত্র প্রয়োজন হবে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল