দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাজের জায়গায় দ্রুত পদোন্নতির টোটকা সংক্রান্ত একটি ভিডিও সম্প্রতি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আজবদ এই ফর্মুলা নিয়ে নেটমাধ্যমে অট্রহাসির রোল পড়ে গেছে!
কাজের জায়গার পদোন্নতি চাই? কীভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খুশি করবেন সেটি বুঝতে পারছেন না? এবার নেটমাধ্যমে পোস্ট করে তার টোটকা বলে দিলেন জনৈকা মহিলা। তার করা ভিডিও দেখে নেটিজেনদের মুখ হাঁ হয়ে গিয়েছে। তাদের কেও কেও ওই মহিলাকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি। অনেকেই আবার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তার পরামর্শ মেনে চলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সম্প্রতি পদোন্নতির টোটকা সংক্রান্ত ওই ভিডিওটি ‘কর্পোরেট বাকলোলি’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হতে পোস্ট করা হয়। ভিডিওর শুরুতেই একজন যুবককে পদোন্নতির সহজ রাস্তা পেয়ে যাওয়ার কথা বলতে শোনা যায়। এরপরই একটি ক্লিপ সংযুক্ত করেন তিনি। সেখানেই আর একজন মহিলাকে পদোন্নতির টোটকা বলতে দেখা গেছে।
কী বললেন ওই মহিলা? কাজের জায়গায় দ্রুত উন্নতি করতে তিনি ২৫০ গ্রাম লেবু কেনার পরামর্শ দেন। এরপর ওই লেবুগুলোকে দেহের চারপাশে ঘুরিয়ে বাড়ির সামনে রাস্তার সংযোগস্থলে রাখতে বলেন ওই মহিলা। শুধু তা-ই নয়, এই কাজ বৃহস্পতিবার করতে হবে বলেও বিধান দেন তিনি! ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওটির মন্তব্য বাক্সে নানা ধরনের মজার মজার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘‘লেবুতেই যদি পদোন্নতির গ্যারান্টি লুকিয়ে থাকে, তাহলে একটা লেমোনেডের দোকান দেবো।’’ আর এক জন বলেছেন, ‘‘ভাবছি লেবুর ব্যবসা করবো। তাহলেই আগামী বছর আমি অম্বানী হয়ে যাব!’’ তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org