দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখা যায় একটি মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গাড়ি করে। দরজা খুলে সেটি রাস্তায় পড়ে যায় হঠাৎ করে। গাড়ির দরজা খুলে যেনো ‘নেমে পড়লো’ এক মৃতদেহ! ভয়ে আঁতকে উঠলেন পথচারীরা!
গাড়ি চালাচ্ছিলেন জনৈক ব্যক্তি। হঠাৎ তার জানলার কাচে উড়ে এসে পড়লো একটি সাদা চাদর। চাদরটি সরে যেতেই রাস্তার দিকে তাকাতেই চমকে ওঠেন গাড়ির চালক। দেখেন রাস্তায় পড়ে রয়েছে একটি মৃতদেহ। প্রথমেই তিনি ভেবেছিলেন হয়তো পথচারি কাওকে ধাক্কা মেরেছেন তিনি। কিন্তু না, দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে যা ঘটেছে তাও কম চাঞ্চল্যকর বিষয় নয়। ওই সময় একটি মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গাড়ি করে। আর দরজা খুলে সেটি রাস্তায় পড়ে যায়। এতেই বাধে যতো বিপত্তি।
জানা যায়, অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে পোল্যান্ডে। শববাহী গাড়ি হতে দুর্ঘটনাক্রমে একটি মৃতদেহ ব্যস্ত রাস্তায় পড়ে যায়। যে কারণে থমকে যায় যানবাহন। আঁতকে ওঠেন পথচারীরা। পোলিশ সংবাদমাধ্যমে ওই ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। ছবিতে দেখা গেছে পথের মাঝখানে জ়েব্রা ক্রসিংয়ে পড়ে রয়েছে ওই মৃতদেহটি।
মৃতদেহ বহনকারী সংস্থা, ‘হেডিস ফিউনারেল সার্ভিসেস’ এক বিবৃতিতে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বলে পোলিশ সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, শববাহী গাড়ির দরজার বৈদ্যুতিক লকটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে যায়। সেই কারণে দরজা খুলে মৃতদেহটি রাস্তায় পড়ে যায়। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার কারণে মৃতের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে মৃতদেহ বহনকারী এই সংস্থাটি। পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি এবং মৃতদের প্রতি সব সময় সম্মান জানানো হয় বলে জানিয়ে সংস্থাটি নিজেদের ওয়েবসাইটে দুঃখপ্রকাশ করেছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org