দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রান্না করতে গিয়ে গরম তেলে মোবাইল ফোন পড়তেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর কাণ্ড! সম্প্রতি রান্না করার সময় ফুটন্ত তেলের পাত্রে মোবাইল ফোনটি পড়ে যাওয়ায় ব্যাটারিটি ফেটে যায়।
রান্নার সময় হাত থেকে মোবাইল পড়লো গরম তেলে। তাতেই ঘটলো মর্মান্তিক এক ঘটনা। তেল ছিটকে এসে পড়লো ওই যুবকের গায়ে। সারা শরীর বিশ্রীভাবে পুড়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন এক যুবক। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভিন্দে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে জানা যায়, নিহতের নাম চন্দ্রপ্রকাশ। তিনি ভিন্দের লাহার এলাকার একজন বাসিন্দা। রান্না করার সময় ফুটন্ত তেলের পাত্রে মোবাইল ফোনটি পড়ে যাওয়ায় এর ব্যাটারিটি ফেটে যায়। প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে যায় মুহূর্তের মধ্যেই। এই সময় সারা গায়ে তেল ছড়িয়ে পড়ে চন্দ্রপ্রকাশের। মৃতের কাকা জানিয়েছেন যে, চন্দ্রপ্রকাশ ওই সময় রান্নাঘরে খাবার তৈরি করছিলেন। ওই সময় তিনি মোবাইল ফোনটি হাতে নিয়ে দেখছিলেন।
অসাবধানবসত তেলের মধ্যে ফোনটি পড়ে যেতেই বিস্ফোরণ হয়ে তেল ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। প্রথমেই তাকে লাহারের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোয়ালিয়রের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। যানজটের কারণে অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি হয়ে যায়। বিকল্প রাস্তা খুঁজে গোয়ালিয়রের হাসপাতালে পৌঁছাতে দু’ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়। গোয়ালিয়রে যাওয়ার পথেই মারা যান চন্দ্রপ্রকাশ নামে ওই যুবক। মৃত্যুর কারণ হিসাবে অ্যাম্বুল্যান্সের দেরিকেই দায়ী করেন পরিবারের সদস্যরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org