দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামিক সঙ্গীত জগতে এক নয়াদিগন্তের সূচনা করলেন হোসাইন নূর। তার কথায় নতুন গজল ‘মিছে দুনিয়া’ ইউটিউবে উন্মোক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়াও পড়েছে।
মাত্র কয়েক বছর পূর্বে লেখালিখি শুরু করা এই গীতিকার বর্তমানে ইসলামি সঙ্গীতের এক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তার লেখা গজলগুলো যেমন মনোমুগ্ধকর, তেমনি হৃদয়ের গভীরে তোলে ব্যাপক আলোড়ন। সম্প্রতি ইউটিউবে রিলিজ হয়েছে নতুন গজল ‘মিছে দুনিয়া’। আর এটি তার ২৮৭ তম প্রকাশ।
এই গজলটিতে সুর এবং কণ্ঠ দিয়েছেন কলরবের জনপ্রিয় শিল্পী মুহাম্মদ বদরুজ্জামান। তানজিম রেজার সঙ্গীত পরিচালনায় এর ভিডিও নির্মাণ করেছেন দক্ষ নির্মাতা ইয়ামিন এলান। হৃদয়স্পর্শী গল্পে অভিনয় করেছেন বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত, রকি খান এবং তারেক জামানসহ প্রতিভাবান অভিনেতারা।
‘মিছে দুনিয়া’ গজলটির গল্প মূলত জীবনের অস্থিরতা ও পরকাল নিয়ে। গল্পের শুরুতেই এক যুবককে দেখা যায়; যিনি তার দাদুর শূন্য ঘরে ঢুকে অতীত স্মৃতি মনে করতে থাকেন। রুমের এক কোণে পড়ে থাকা দাদুর ব্যবহৃত লাঠি তাকে ছোটবেলার কথাও মনে করিয়ে দেয়। তার মনে পড়ে যায়, দাদুর সঙ্গে বল খেলার স্মৃতি, দুরন্ত শৈশব, ফেলে আসা কৈশোরের কথা। দেখা যায়, তারই বাবার ব্যস্ত জীবন। গজলটি শেষ হয় একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার স্বজনদের শোকে ভরা দৃশ্যের মধ্যদিয়ে। এই বিদায় দাদুর নাকি বাবার? নাকি অন্য কারও? এই দৃশ্যতো সবার ক্ষেত্রেই আসলে এক! গাড়ি-বাড়ি এবং জীবনের অনেক কিছু অমীমাংসিত রেখে এভাবেই মানুষকে একদিন চলে যেতে হয়। স্বপ্নের বাড়ি রয়ে গেলেও পরিবর্তন হয় শুধু বাড়ির মালিকের। এমনই এক অমোঘ সত্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই গজলের মাধ্যমে।
এই গজলটি রিলিজ করা হয়েছে বাংলাদেশের ইসলামিক গানের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হলিটিউন ইউটিউব চ্যানেলে। রিলিজ হওয়ার পর থেকেই শ্রোতামহলে ফেলেছে ব্যাপক সাড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে ব্যাপক আলোচনা।
দেখুন ভিডিও গানটি
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org