দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) এর ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন নেতৃত্ব করা হয়েছে। আইবিএফবি-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিসেস লুতফুন নিসা সৌদীয়া খান, সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার উৎপল কুমার দাস যথাক্রমে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) নির্বাচিত।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) – দেশের নেতৃস্থানীয় গবেষণা ও সর্মথন ভিত্তিক ব্যবসায়িক সংগঠন, দেশটির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের সদস্যদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিসেস লুতফুন নিসা সৌদীয়া খানকে নির্বাচিত করেন। তিনি বাংলা ফোন লিমিটেড, কমলিঙ্ক ইনফো টেক লিমিটেড এবং নিউটন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর চেয়ারম্যান।
আইবিএফবি এর ২০২৩ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে জনাব সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নভো কার্গো সার্ভিসেস লিঃ এবং ইঞ্জিনিয়ার উৎপল কুমার দাস, চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পাওয়ারট্র্যাক গ্রুপ।
অন্যান্যদের মধ্যে মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ শামীম চৌধুরী পরচিালক, থরোপ বাংলাদেশ লিমিটেড, এম,এ হাশেম, চেয়ারম্যান, সজীব গ্রুপ, মোহাম্মদ এরশাদ হুসেন রানা, চেয়ারম্যান এবং সিইও , ডাওয়ান গ্রুপ, মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনাইটেড ইনভেস্টমেন্ট এবং ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড, মোহাম্মদ জাহানঙ্গীর কবির, প্রোপাইটার, ইমপ্রেস কম্পিঊটারাইজড লেবেলস, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, চেয়ারম্যান এবং সিইও, এস এস ট্রেডিং ও টি এস ড্রেজিং, প্রতিষ্ঠাতা পরচিালক, ওয়েস্টার্ন মেরিন গ্রুপ এবং মোহাম্মদ শফিকুল আলম, এফ সি এস, এফ সি এম এ, এফ সি এ, চেয়ারম্যান, বিজ সলিউশন পি এল সি পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org