দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতের তেমন তেজই নেই, তবু পৌষের ঠাণ্ডায় অনেকেই কাবু। দিনে গরম পোশাক গায়ে জড়়ানোর তেমন একটা দরকার না পড়লেও, রাতের দিকে কম্বলের ওম গায়ে মাখতে হচ্ছে। তবে শীতে সোয়েটার না পরলেও শরীর উষ্ণ রাখবে বেশ কিছু খাবার। সেগুলো আসলে কী?
সাধারণত শীতকাতুড়েরা আবার কিছুতেই সোয়েটার, মাফলারের খোলস থেকে বেরিয়ে আসতেই পারছেন না। শীতকাল হলেও সারাক্ষণ গরম জামা পড়ে থাকা আবার শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। সেই ক্ষেত্রে উষ্ণ পোশাক না পরে শরীর উষ্ণ রাখতে পারেন বেশ কয়েকটি খাবার খেয়েই। আজ রয়েছে তেমন কয়েকটি খাবারের সন্ধান।
আদা
অনেকের বারে বারে চা খাওয়ার অভ্যাস। এই চা’য়ে একটু আদা মিশিয়ে নিতে পারেন। ভিতর থেকেও গরম থাকবে শরীর। আদাতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা রক্ত চলাচল সচল রাখতে আরও সাহায্য করে। শরীরে অভ্যান্তরীণ বহু সমস্যা হতে দূরে থাকতেও সাহায্য করে এই আদা।
আপেল
শীতে উষ্ণতা পেতে হলে কামড় দিতে পারেন আপেলেও। এতে রয়েছে ঠাসা ফাইবার। হজমপ্রক্রিয়া সচল রাখার পাশাপাশি আপেল শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা করে তুলতে সাহায্য করে। আপেল শরীরের উষ্ণতাও বজায় রাখে।
দারচিনি
শীতে চাঙ্গা ও চনমনে থাকতে দারচিনি বেশ কার্যকরী একটি জিনিস। চিনি না খেলেও চোখ বন্ধ করে খেতে পারেন এই দারচিনি। ওজন বৃদ্ধির ভয়ও নেই। বরং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারচিনি বেশ সাহায্য করে। দারচিনি দিয়ে ফুটিয়ে সেই পানি খেতে পারেন। বা চা’য়েও ব্যবহার করতে পারেন এই দারচিনি।
শুকনো মরিচ
হয়তো আপনি শুনেই আঁতকে উঠলেন? ঘামঝরা শীতেও যদি সারাক্ষণ কাঁপতে থাকেন, তাহলে রান্নার ফোড়নে শুকনো মরিচ দিতে পারেন। শুকনো মরিচে রয়েছে ক্যাপাসাইসিন। এই উপাদান শরীরে রক্ত চলাচলও ব্যাহত হতে দেয় না। সেইসঙ্গে বিপাকক্রিয়ার হারও বৃদ্ধি করে। সব মিলিয়ে শুকনো মরিচ শীতে ভিতর থেকে চাঙ্গা ও চনমনে থাকতেও সাহায্য করবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ 2:30 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আর্থ্রাইটিস, অর্থাৎ বাত যে শিশুদেরও হয়, সে কথা অনেকেই হয়তো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো 'প্রিয়তমা'…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরের ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে বর্ষবরণের উদ্যাপনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক প্রতিযোগিতা দেখে থাকি। তবে আজ এমন এক বিচিত্র…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৮ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, অনিয়ম জীবনযাপনের জেরে শরীরে রোগের…