দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি ডিমের দাম এতো হতে পারে তা কখনও কী ভাবা যায়? তবে এবার এমনই একটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, মাত্র একটি ডিমের দাম ৩০ হাজার টাকা!
অবাক হওয়ার মতো এমন ঘটনা ঘটেছে বাস্তবে। ২০০ পাউন্ড কিংবা ৩০ হাজার টাকায় বিকিয়েছে আকারে পুরোপুরি গোলাকার একটি ডিম!
একেবারে গোল আকৃতির ডিম শুধু দুর্লভই নয়, বলা যায় অতি দুর্লভ। এক ব্যক্তি মদ্যপানের পর হুট করে বেশ চড়া দামে কিনে ফেলেন এটি। সেটি শেষ পর্যন্ত নিলামে বিক্রি হয় ২০০ পাউন্ডে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার টাকার সমান! -খবর দ্য ইকোনোমিক টাইমসের।
যুক্তরাজ্যের বার্কশায়ারের ল্যামবর্নের বাসিন্দা এড পাওনেল মজার এই ডিমটির জন্য ১৫০ পাউন্ড খরচও করেন। পরে ডিমটি দান করে দেন ইউভেন্টাস ফাউন্ডেশন নামে একটি জনসেবামূলক সংস্থাকে। এই সংস্থাটি অক্সফোর্ডশায়ারের যুবকদের মানসিক স্বাস্থ্যসহ নানা বিষয়ে সহায়তা করে থাকে।
প্রথমেই সংস্থাটি এই ডিম প্রাপ্তিকে একটি কৌতুক হিসেবেই ধরে নেয়। পরে তারা এটিকে নিলামে তুলে দেয়। তা নিলামে তোলার পর সবাই এতো দাম পেয়ে বিস্মিত হন।
ইউভেন্টাস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি রজ র্যাপ বলেছেন, ডিমটি বিক্রি হওয়াতে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। কারণ এই অর্থের মাধ্যমে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবো।
র্যাপ আরও জানান, ডিমটি ছাড়াও নিলামে আরও কিছু জিনিস তোলা হয়। যার মাধ্যমে মোট ৫ হাজার পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ করা হয়। এই গোলাকার ডিমটির আবিষ্কারক ছিলেন স্কটল্যান্ডের আয়ার শহরের জনৈকা নারী। যিনি এটি স্থানীয় সুপারমার্কেটের একটি বক্সে খুঁজে পেয়েছিলেন।
এড পাওনেল ডিমটি কেনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এটি সত্যিই ভালো কাজে খরচ করা টাকা। থমসন রডিক ক্যালান অকশন হাউসে’র কর্মী ডেভিড মিলার বলেছেন, গোল আকৃতির ডিমের মতো ঘটনা ‘১০০ কোটির মধ্যে একবার’ই ঘটে।
র্যাপ আরও বলেছেন, এই টাকা দিয়ে আমরা ১৩-২৫ বছর বয়সী কিশোর-তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য উদ্ধারে সহায়তায় সাহায্য করতে পারবো। সহায়তা প্রয়োজন এমন আরও তরুণ-তরুণীর কাছে পৌঁছানোও সম্ভব হবে এই অর্থের মাধ্যমে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org