দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোন্ডার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল সিবি ইউনিকর্ন সম্প্রতি নতুন রূপে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে। ২০২৫ এডিশনের এই বাইকে নতুন বেশ কিছু ফিচারও যোগ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
হোন্ডার এই বাইকটিতে একটি ১৬৩ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন, ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড পেট্রোল ইঞ্জিনও রয়েছে। আরও অসংখ্য ফিচার থাকছে নতুন এই বাইকটিতে।
হোন্ডা ইউনিকর্নের নতুন এই ভার্সনে ইনস্টল করা হয়েছে ফুল ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। সেইসঙ্গে এলইডি হেডল্যাম্প, সার্ভিস রিমাইন্ডার, ১৫ ওয়াটের ইউএসবি টাইপ সি চার্জিং পোর্টও এই বাইকে রয়েছে। এই বাইক আবার গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর ও একটি ইকো ইন্ডিকেটরের সঙ্গেও বাজারে এসেছে।
২০২৫ এডিশনের হোন্ডা ইউনিকর্নে আরও ব্যবহৃত হয়েছে একটি আপডেটেড ১৬২.৭১ সিসি ও সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ওবিডি২বি নিয়মাবলী মেনেই তৈরি। এই ইঞ্জিনটি আগের মডেলের তুলনায় সামান্য বেশি পাওয়ার ও টর্ক উৎপ পালনকারী ইঞ্জিনটি ১৩ বিএইচপি ও ১৪.৫৮ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। মোটরসাইকেলটিতে ৫-গতির গিয়ারবক্স যুক্ত রয়েছে। যে কারণে এটি যাত্রাপথে মসৃণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
হোন্ডার এই নতুন বাইকটি ৩টি রঙের বিকল্প নিয়ে এসেছে। যারমধ্যে রয়েছে ম্যাট অ্যাক্সিস গ্রে মেটালিক, পার্ল ইগনিয়াস ব্ল্যাক ও রেডিয়ান্ট রেড মেটালিক রং। বর্তমানে এই বাইকের অন রোড দাম ভারতীয় বাজারে ১ লাখ ৩৪ হাজার রুপি থেকে শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশে কবে থেকে পাওয়া যাবে তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তথ্যসূত্র : হিন্দুস্থান অটো
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org