দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৃষ্টিবাদলের মধ্যেই মেঘের গর্জন, সেইসঙ্গে ঘন ঘন বজ্রপাত। হঠাৎ করেই বিমানের উপর একটি বাজ পড়তে দেখা যায়। সেই দৃশ্যই ক্যামেরায় হয়ে ধরা পড়েছে।
ঝড়বৃষ্টির কারণে বিমানবন্দর হতে রওনা দিতে পারছে না বিমান। যে কারণে যাত্রীরাও বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন। শহরের বেশ কিছু এলাকায় বন্যার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। দুর্যোগের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ শহর জুড়েই। সেই সময় বিমানবন্দরের এক ভয়াবহ দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করলেন জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী। নেটমাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের সাও পলো গুয়ারুলহস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ওইদিন সেখানে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। ওই সময় বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েছিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ় বিমান সংস্থার এ৩৫০-১০৪১ বিমান। বৃষ্টিবাদলের মধ্যে মেঘের গর্জন, ঘন ঘন বজ্রপাতও হচ্ছিল। হঠাৎ বিমানের উপর একটি বাজ পড়তে দেখা গেলো। ওই দৃশ্যই ক্যামেরায় হয়ে ধরা পড়ে। ‘ব্রেকিং অ্যাভিয়েশন নিউজ় অ্যান্ড ভিডিওজ়’ নামে অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায় যে, বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিমানের উপর বাজ পড়ছে ও সেই আলো ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। জানা যায় যে, ওই সময় বিমানের ভিতর কোনও বিমানকর্মী বা যাত্রী ছিলেন না। বিমান সম্পূর্ণই ফাঁকা ছিল। বিমানের উপর বজ্রপাতের কারণে বিমানের কোনও যন্ত্রের ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।
ঘটনার পর বিমানকর্মীরা সমস্ত যন্ত্রপাতিই খতিয়ে দেখেন। পরীক্ষা করার পর নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৬’ঘণ্টা বিলম্বে ওই বিমানটি গন্তব্যে ওড়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org