দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোয়াটসঅ্যাপ হলো মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করেন এই হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত এর নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য এলো আবারও নতুন ফিচার।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করতে পোল পরিচালনা করা যায়। এ ছাড়াও ব্যক্তিগত কাজ, ব্যবসায়িক, অফিসের কাজে এই অ্যাপটি নিয়মিত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতিনিয়তই ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিতকায় এবার আসছে এক ফোনে দুই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ। এই ফিচারের সহায়তায় একই ফোনে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চালানো সম্ভব হবে।
হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন মাল্টি-অ্যাকাউন্ট ফিচারটি অ্যানড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্য চালু হতে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে, হোয়াটসঅ্যাপ বেটা ফর অ্যানড্রয়েড ২.২৩.১৭.৮ ভার্সনে সীমিত সংখ্যক বিটা ব্যবহারকারীদের জন্য এই ফিচারটি রোলআউট করা হয়। নতুন আপডেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একই ফোনে ব্যক্তিগত, পেশাদার ও অন্যান্য অ্যাকাউন্ট একসঙ্গে পরিচালনা করতে পারবেন। যে কারণে, আলাদা ফোন কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপের প্রয়োজনীয়তাও কমে যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপের মাল্টি-অ্যাকাউন্ট ফিচার চালু হলে, একটি অ্যাপের মধ্যে পৃথক অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করা যাবে। নতুন অ্যাকাউন্ট অ্যাড করার সময় ব্যবহারকারীদের দু’টি অপশনও দেওয়া হবে।
প্রথম অপশনে, প্রাথমিক অ্যাকাউন্ট হিসেবে সেটআপ করার সুযোগও থাকবে। দ্বিতীয় অপশনে, কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে নতুন অ্যাকাউন্টও সংযুক্ত করা যাবে। এই ফিচারের মাধ্যমে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের চ্যাট, নোটিফিকেশন, ব্যাকআপ ও সেটিংস পৃথক থাকবে। যে কারণে, এক অ্যাকাউন্টের সেটিংস অন্য অ্যাকাউন্টের উপর কোনো রকম প্রভাব ফেলবে না।
কবে আসছে এই ফিচারটি?
বর্তমানে এই ফিচারটি উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এর গ্লোবাল রোলআউটের কোনো তারিখ দেয়নি। তবে, খুব শীঘ্রই ফিচারটি সকল ব্যবহারকারীর জন্য উপলব্ধ হবে বলে আশা করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন মাল্টি-অ্যাকাউন্ট ফিচারটি ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ সুবিধাজনকই হতে চলেছে। বিশেষ করে যারা ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জীবন পৃথক রাখতে চান- তাদের জন্য খুবই ভালো হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org