দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিনিয়ত নানা নতুন নতুন ফিচার যোগ করছে। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করেন এই অ্যাপটি।
এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতে পোল পরিচালনা করা যায়। এ ছাড়াও ব্যক্তিগত কাজ ছাড়াও ব্যবসায়িক, অফিসের কাজে এই অ্যাপটি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিনিয়তই ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয়ে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। এইসব পরিবর্তনে অ্যাপটি আরও বেশি জনপ্রিয় হবে বলে মনে করা হয়।
ব্যক্তিগত বা অফিসিয়ালসহ অনলাইন যোগাযোগের যাবতীয় কাজ বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সমাধা করা হয়। স্বাভাবিকভাবে বহু প্রয়োজনীয় নথি আদান-প্রদান হয় এই অ্যাপেই। তবে আবার অযথাই বহু ছবি ও ভিডিও আসে। যা না চাইতেও ডাউনলোড করে ফেললে নষ্ট হয় ডেটা এবং জায়গা। এই সমস্যা সমাধানে এবার প্রাইভেসি ফিচারে বদল আনতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।
প্রথমদিকে হোয়াটসঅ্যাপে আসা যে কোনও ছবি কিংবা ভিডিও নিজে থেকেই ডাউনলোড হয়ে যেতো। সেভ হয়ে যেতো গ্যালারিতে। পরবর্তীতে প্রাইভেসি ফিচারেও বদল আসে। বর্তমানে আপনি না চাইলে কোনও কিছু ডাউনলোড হবে না। আপনি ক্লিক করলে তবে ডাউনলোড হবে। তবে একইসঙ্গে সেভ হয়ে যায় গ্যালারিতে। যে কারণে না চাইলেও ডেটা এবং স্পেস, দুটোই নষ্ট হয়। এইসব কথা মাথায় রেখে নয়া ফিচার আনতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবি-ভিডিও প্রাপকের গ্যালারিতে সেভ হবে কি-না, তা ঠিক করতে পারবেন প্রেরক নিজে। এতে যেমন ডেটা বাঁচবে, তেমনি ছবি-ভিডিওর অপব্যবহারও কমবে।
সংস্থা সূত্রের খবর, ছবি কিংবা ভিডিও গ্যালারিতে সেভ হবে কি-না, সেই সংক্রান্ত কন্ট্রোল থাকবে প্রেরকের হাতে। তিনিই ঠিক করবেন, যা পাঠাচ্ছেন প্রাপক তা আদৌ সেভ করতে পারবেন কি-না। জানা গেছে, শুধু ছবি ও ভিডিওই নয়, পরবর্তীতে টেক্সটের ক্ষেত্রেও চালু হবে এই ফিচারটি।
এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবি-ভিডিও প্রাপকের গ্যালারিতে সেভ হবে কি-না, তা ঠিক করতে পারবেন প্রেরক নিজেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org