দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি তৃণভোজী দুর্বল প্রাণীকে আক্রমণ করতে গিয়ে একপাল বাঁদরের হাতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হলো এক বাঘবাবাজি। সেই মজার ভিডিওই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে।
একা পেয়ে একটি বাঁদরকে আক্রমণ করতে এগিয়ে এলো এক চিতাবাঘ। ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি যে, পাল্টা আক্রমণ ধেয়ে আসতে পারে তার দিকে। একটি তৃণভোজী দুর্বল প্রাণীকে আক্রমণ করতে গিয়ে একপাল বাঁদরের হাতে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হলো বাঘবাবাজি। সেই মজার ভিডিওই সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। ‘ওয়াইল্ডস অ্যানিম্যালস০৯৭’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হতে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
একপাল বাঁদরের হাতে বাঘের হেনস্থা হওয়ার ভিডিওটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। গত ডিসেম্বরে পোস্ট হওয়া ওই ভিডিওটি কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়ে গেছে। প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী ভিডিওতে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক জঙ্গলের মধ্যে পাকা রাস্তায় একদল বাঁদর বসেছিল। হঠাৎ করেই একটি চিতাবাঘ ছুটে এসে ওই দলের একটিকেই শিকার করতে চায়। সঙ্গীকে চিতাবাঘের কবলে পড়তে দেখে বাকিরাও ছুটে আসে এবং একজোটে আক্রমণ করে বসে শিকারিকে। আঁচড়ে-কামড়ে চিতাবাঘটিকে মাটিতে একেবারে শুইয়ে দেয়। চিতাবাঘটির উপর চড়াও হয়ে চলতে থাকে ওই বাঁদরকুলের পাল্টা আক্রমণ। বেগতিক দেখে শিকারের আশা ছেড়ে দেয় ওই চিতাবাঘটি। কোনও রকমে তাদের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে লেজ গুটিয়ে পালায় হিংস্র শ্বাপদটি। সেটিকে পালিয়ে যেতে দেখে বাদরের দল চিতাবাঘটির পিছুও নেয়। এখানেই শেষ হয়েছে ভিডিওটি। শেষ পর্যন্ত বাঘের কী দশা হলো তা অবশ্য জানা যায়নি ভিডিওতে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org