দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালের কানেকশনস থ্রু কালচার (সিটিসি) গ্রান্ট প্রোগ্রামের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এই বছর এ প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের চারটি যৌথ প্রকল্পে অনুদান (গ্র্যান্ট) প্রদান করা হবে।
সবমিলিয়ে, মোট ৮৪টি উদ্ভাবনী উদ্যোগকে এই কর্মসূচির আওতায় সহায়তা প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শিল্পীদের মধ্যে দৃঢ় অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে সিটিসি।
এই বছর অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার শিল্পীদের এই গ্র্যান্ট প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে একটি মাইলফলক প্রতিষ্ঠিত হলো।
সিটিসি গ্রান্ট প্রোগ্রামের আওতায় এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মোট ১১ কোটি টাকার বেশি অনুদান প্রদান করা হবে, যার মধ্যে বিজয়ী বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারীদের প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ থাকবে ৬০ লক্ষ টাকার বেশি। এই অনুদান শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে তাদের সৃজনশীল ভাবনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। এই গ্রান্ট প্রদানের লক্ষ্য উদ্ভাবন এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র গড়ে তোলা।
শিল্পসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, সৃজনশীলতার আদান-প্রদান এবং নতুন ধারণা বিকাশকে উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। কানেকশনস থ্রু কালচার গ্রান্ট প্রোগ্রাম সংস্থাটির এ অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।
২০২৪ সালের অনুদান লাভ করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র, সৃষ্টিশীল প্রযুক্তি, সাহিত্য, দৃশ্যকলা, মঞ্চ, নৃত্যকলা, ডিজাইন, ফ্যাশন, হস্তশিল্প এবং সংগীতের মতো নানা ক্ষেত্রের উদ্যোগ।
বৈচিত্র্যময় ও বহুমুখী এ প্রকল্পগুলো নতুন ভাবনার তৈরি করবে, যা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, যেমন বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিমা পালন করবে।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের হেড অব আর্টস সাদিয়া রহমান বলেন, “আমরা ২০২৪ সালের গ্রান্ট প্রোগ্রামের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত। তাদের প্রকল্পগুলো আন্তঃসাংস্কৃতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করবে।” তিনি আরও বলেন, “এই অংশীদারিত্ব শিল্প এবং সৃষ্টিশীল মানুষদের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করবে। একইসাথে, বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কট মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখবে। আমরা আশাবাদী, এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”
বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের যেসব প্রকল্পে তহবিল প্রদান করা হবে: এরগন থিয়েটার (ইংল্যান্ড) ও ইয়ুথনেট গ্লোবালের (বাংলাদেশ) ‘টাইগার উইডো’; সাম্পাদ (ইংল্যান্ড) ও আনন্দিতা খানের (বাংলাদেশ)নর ‘নীল আকাশ (ব্লু স্কাই); অ্যাডাম লুইস জেকব (স্কটল্যান্ড) এবং দৃকের (বাংলাদেশ) ‘ইদরিস,’ এবং বার্মিংহাম কন্টেম্পোরারি মিউজিক গ্রুপ (ইংল্যান্ড) এবং নীল কমরুলের (বাংলাদেশ) ‘দ্য স্টোরি অব মায়া: জেনেসিস (দ্য মেকিং অব দ্য স্টোরি অব মায়া),’ এবং ।’
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org