দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তৃষ্ণা নিবারণের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে এই সময়ের তাজা রসালো ফল তরমুজ। যা তেষ্টাও মেটাবে সেইসঙ্গে শরীরকে বাড়তি পুষ্টিও জোগাবে। তরমুজ সেই ধরনের ফলের তালিকার অন্যতম।
বৈশাখ এখনও আসেনি, তরপরও গরম এখনই তার উপস্থিতি টের পাওয়াচ্ছে। দুপুর রোদে বাইরে বের হলে গলা ভেজানোর জন্য হাঁফিয়ে উঠতে থাকে মন। এই সময় নরম পানীয়ের দিকে হাত না বাড়িয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে তাজা রসালো কোনো ফল আর সেটি হলো তরমুজ। যা তেষ্টাও মেটাবে সেইসঙ্গে শরীরকে বাড়তি পুষ্টিও জোগাবে। তরমুজ সেই ধরনের ফলের তালিকার মধ্যে অন্যতম বলাই যায়। এই তরমুজের কী কী গুণ রয়েছে?
ত্বক
তরমুজে ভিটামিন “সি’ এবং ভিটামিন “এ’ রয়েছে। এই দু’টিই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শরীরকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে, ত্বকের স্বাস্থ্যও রাখে ভালো।
হার্ট
তরমুজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
হজম
তরমুজ শরীরকে আর্দ্রতা জুগিয়ে হজমেও সহায়তা করে। এছাড়াও তরমুজে থাকা ফাইবারও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূরে রাখে।
ওজন
তরমুজ পেট ভরিয়ে রাখে অথচ ক্যালোরিও কম। তরমুজের এই গুণের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুবিধাও হয়।
তারুণ্য
তরমুজের পুষ্টিগুণ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার উপাদান কোলাজেন তৈরি করতেও সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org