দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী। এতে করে তেল আবিবসহ অন্যান্য শহরে সাইরেন বেজে ওঠে।
রবিবার (২৩ মার্চ) ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল ১২। হামলার কারণে বেনগুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
রবিবার ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে ইরানী বার্তা সংস্থা ইরনা এই তথ্য দিয়েছে।
ইসরায়েলের অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন ইয়েমেনি হামলার কারণে অধিকৃত আল-কুদসসহ ২০টিরও বেশি শহর এবং বসতিতে সাইরেন বেজে উঠে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন যে, তাদের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের তেলআবিবে অবস্থিত বেনগুরিয়ন বিমানবন্দর এবং একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনি সেনাবাহিনী জানায়, তারা ‘প্যালেস্টাইন-২’ নামে একটি সুপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেনগুরিয়ন বিমানবন্দরে আঘাত হানে।
ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হামলার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে। একইসঙ্গে, মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ‘হ্যারি ট্রুম্যান’ ও লোহিত সাগরে থাকা অন্যান্য শত্রু সামরিক নৌযানগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালানো হয়।
ইয়েমেনি বাহিনীর মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, এই অভিযানে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করা হয় ও এই হামলা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে।
মূলত, গত ১৮ মার্চ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নতুন করে হামলা শুরু করার জবাব দিতেই ইয়েমেনও তাদের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করেছে। ইয়েমেন ইসরায়েলকে গাজায় অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য যে সময়সীমা নির্ধারণ করে, সেটি অমান্য করার পর তারা এই হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে ইয়েমেন বলেছে যে, গাজার যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে এই লড়াই চালিয়ে যাবেন।
অপরদিকে, ইয়েমেনেও মার্কিন বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। যা ইয়েমেনের মতে, ইসরায়েলকে সমর্থন করার মার্কিন প্রচেষ্টারই অংশ। তথ্যসূত্র : ইরনা এবং মেহের নিউজ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org