দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ) ২০২৪ সালের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৫শে মার্চ ২০২৫ তারিখে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে এই সাধারণ সভায় লভ্যাংশের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা সর্বসম্মতিক্রমে সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক ও কর্পোরেট গভর্নেন্স নিরীক্ষক নিয়োগ অনুমোদন দেন। বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ওয়াইল সাবরার সভাপতিত্বে অনলাইনে এ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। দেশ ও বিদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডাররা বিএটি বাংলাদেশের এজিএম পোর্টালের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এজিএম -এ পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন এবং প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালে বিএটি বাংলাদেশ মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর হিসেবে জাতীয় রাজস্ব কোষাগারে ৩৪,১৭৩ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতায় পরিণত করেছে।
সভায় প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক মাসুদ খান, ও প্রফেসর ডঃ মেলিতা মেহজাবিন; অ-নির্বাহী পরিচালক সিরাজুন নূর চৌধুরী, স্টুয়ার্ট কিড ও ফ্রান্সিসকো তোসো ক্যানেপা এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিশা আব্রাহাম, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিরালা সিং, কমার্শিয়াল ডিরেক্টর নুমায়ের আলম ও কোম্পানি সচিব সৈয়দ আফজাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org