দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী কাজল কখনই তার নামের সঙ্গে কোনো পদবি ব্যবহার করেন না। কেনো এই অভিনেত্রী তার পদবি ব্যবহার করেন না, সেই গোপন তথ্যই এবার ফাঁস করলেন তিনি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত রাইজিং ভারত সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে যোগ দেন কাজল। সেখানে তিনি নিজের সম্পর্কে এমন একটি তথ্য ফাঁস করেন, যা জানার আগ্রহ ভক্তদের দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে।
এই সময় কাজল তার নামের সঙ্গে পদবি ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের কথা বলতে গিয়ে বলেন, তিনি তার পরিবারের উত্তরাধিকারের চাপ এড়াতেই এটি করেছিলেন।
অভিনেত্রী জানান যে, যখন তিনি বলিউডে পা রাখেন, তখন তার মা তনুজা তার পদবি ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাও করেছিলেন ও দাদা-দাদুর বংশের কথা বলেছিলেন।
তবে কাজল বলেছিলেন যে, তিনি নিজের প্রতি সৎ থাকতে চান ও বংশের বোঝা বহন করতে চান না, তাই তিনি কেবলমাত্র তার প্রথম নাম ‘কাজল’ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। আশা করেছিলেন, এটি তাকে অপ্রয়োজনীয় প্রত্যাশা এড়াতে সাহায্যও করবে।
রাইজিং ভারত সামিট ২০২৫-এ কাজল আরও বলেন, এটি একান্ত নিজের পছন্দই ছিল। তবে এরপর থেকে এখনও আমি অনুভব করেছি যে ,আমি কারও পক্ষ নিতে চাইনি।
কাজল আরও বলেন, নিজের প্রতি আমি সৎ থাকতে চেয়েছিলাম, বংশের বোঝা হতে চাইনি। তাই আমি ভেবেছিলাম যদি আমি কেবলমাত্র কাজল নামে পরিচিত হই, তাহলে হয়তো আমার উপর এতো চাপ থাকবে না।
কাজল চলচ্চিত্র জগতের একটি বিশিষ্ট পরিবার থেকেই এসেছেন। তিনি প্রবীণ অভিনেত্রী তনুজা ও চলচ্চিত্র পরিচালক শোমু মুখার্জির কন্যা। তার দিদা শোভনা সমর্থও একজন অভিনেত্রী ছিলেন। এদিকে তার পিতামহ শশধর মুখার্জিও একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন।
উল্লেখ্য, বলিউড অভিনেত্রী কাজলকে পরবর্তীতে কায়োজ ইরানির সিনেমা ‘সারজামিন’-এ দেখা যাবে। যেখানে সাইফ আলি খানের ছেলে ইব্রাহিম আলি খানও অভিনয় করবেন। তার অভিনীত বিশাল ফুরিয়া পরিচালিত ‘মা’ সিনেমাটি এ বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের ২৭ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বলে জানা যায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org