দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অব্যবহৃত এবং নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন খুদে ব্লগ লেখার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এক্স।
নতুন এই উদ্যোগের আওতায় প্ল্যাটফর্মটিতে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত কিংবা নিষ্ক্রিয় ইউজার নেম (হ্যান্ডল) অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হবে কলে জানানো হয়েছে। তবে চাইলেই অব্যবহৃত ইউজার নেম কিন্তু কেনা যাবে না, শুধু এক্সের ‘ভেরিফায়েড অর্গানাইজেশন’ হিসেবে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো আবেদন করে পছন্দের ইউজার নেম কিনতে পারবেন। এইসব ইউজার নেমের দাম সর্বনিম্ন ১০ হাজার মার্কিন ডলার হতে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
প্রযুক্তিবিশ্লেষক নিমা ওউজি জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি এক্সের ওয়েব অ্যাপে ‘হ্যান্ডল ইনকোয়ারি’ নামে একটি নতুন সুবিধা চালু করা হয়েছে। সুবিধাটি কাজে লাগিয়ে ভেরিফায়েড অর্গানাইজেশনগুলো চ্যাটবটের মাধ্যমে এক্সের যে কোনো অব্যবহৃত ইউজার নেম কেনার জন্য অনুরোধ পাঠাতে পারবেন। হ্যান্ডল কিংবা ইউজার নেমটি যদি বিক্রির উপযোগী হয়, তবেই এক্স তিন দিনের মধ্যে তা জানিয়েও দেবে। তারপর অর্থ পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই ইউজার নেমটি নতুন মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। চাইলে নামটি প্রতিষ্ঠানের অন্য কোনো অ্যাকাউন্টেও তখন স্থানান্তর করা যাবে।
ইউজার নেম বিক্রির উদ্যোগ এক্সের জন্য নতুন কিছু নয়। ইলন মাস্কের মালিকানায় যাওয়ার পর হতে প্রতিষ্ঠানটি নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের নাম মুছে তা নতুনদের মধ্যে বিতরণের পরিকল্পনাও করছিল। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের মে মাসে বিপুলসংখ্যক অব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট মুছেও ফেলেছে এক্স।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা মতে, নতুন এই উদ্যোগ এক্সের আয়ের একটি বিকল্প উৎসও হতে পারে। বর্তমানে বিজ্ঞাপন, গ্রাহকসেবা এবং ডেভেলপার সুবিধার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আয় করে থাকে। অব্যবহৃত ইউজার নেম বিক্রির মাধ্যমে আয় বাড়ানো ও সেইসঙ্গে এক্স বর্তমান ব্যবহারকারীদের নিয়মিত সক্রিয় থাকার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তবে নতুন এই উদ্যোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্যই জানায়নি এক্স।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org