দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি সংস্থায় কাজ করতে হলে কর্মীদের মেনে চলতে হয় বিদ্ঘুটে নানা ধরনের নিয়ম কানুন। সংস্থার চাকরিতে যোগ দেওয়ার দু’মাসের মধ্যেই নেটমাধ্যম রেডিটে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন ২৫ বছর বয়সী এক তরুণী।

ওই সংস্থায় কাজ করতে হলে কর্মীদের মেনে চলতে হয় বিদ্ঘুটে নানা নিয়ম কানুন। সংস্থার চাকরিতে যোগ দেওয়ার দু’মাসের মধ্যেই নেটমাধ্যম রেডিটে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণী। সংস্থার নিয়মকানুন মেনে চলতে গিয়ে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পোস্টের শুরুতেই তিনি সংস্থায় কাজের চাপের বর্ণনা দিয়েছেন যে, কীভাবে তাকে একা কমপক্ষে দুই জনের কাজের চাপ সামলাতে হচ্ছে।
তিনি তার ফোনে সব সময়ই অফিসের সিসিটিভি ফিড দেখতে থাকেন। অফিসের মধ্যে কেও যখন কাজের ফাঁকে কারও সঙ্গে কথা বলতে থাকেন, তখনই তিনি গ্রুপ চ্যাটে বার্তা পাঠিয়ে জানতে চান সকলেই কী করছে। এমনকি সহকর্মীদের একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়ার জন্য বসার ব্যবস্থারও পরিবর্তন করার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তরুণীর।
শুধু তাই নয়, এছাড়াও রয়েছে আরও একটি অদ্ভুত নিয়ম। অফিসে কেও জুতো পরে হাঁটতেও পারবেন না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অফিসে থাকা পোষ্যরা। ওই তরুণী জানিয়েছেন, এতে করে তাদের কোনও সমস্যা নেই। কারণ তারা সকলেই কুকুরগুলোকে ভালোবাসেন। সমস্যা হলো কুকুরগুলো অফিসের ভিতরে খাওয়ার পর প্রস্রাব, মলত্যাগ এবং বমিও করে ফেলে। যেহেতু জুতো পরতে দেওয়া হয় না, সেই কারণে আরও সমস্যা তৈরি হয় কর্মীদের। কারণ অনেকেই কুকুরের প্রস্রাবে কিংবা বমিতে পা দিয়ে ফেলেন। ওই তরুণীর অভিযোগ তার বস প্রায় সময় ছোটখাটো বিষয়ে কর্মীদের উপর চিৎকার করেন এবং পান থেকে চুন খসলেই বেতন কেটে নেওয়ার হুমকিও দেন। কোনও স্পষ্ট কারণ ছাড়া বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মচারীদের আইনি নোটিশ পাঠান বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ওই তরুণী কর্মক্ষেত্র নিয়ে তার হতাশাও গোপন করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি না কতোক্ষণ আমি এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবো।’’ তরুণীর এই পোস্টটি নেটমাধ্যমে ব্যাপকভাবেই নজর কেড়েছে। রেডিট ব্যবহারকারীরা তাদের মতামত ও পরামর্শ জানিয়ে লেখেন যে, ‘‘যতো দ্রুত সম্ভব অন্য চাকরি খুঁজে নিন।’’ তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org